গরু পালনে জনপ্রিয় হচ্ছে অর্গানিক পদ্ধতি
প্রকাশিত : ২৩:১৯, ৫ আগস্ট ২০১৯ | আপডেট: ২৩:২৭, ৬ আগস্ট ২০১৯
দেশে কয়েকবছর ধরে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে অর্গানিক পদ্ধতিতে পালন করা গরু কোরবানি দেওয়া। যার কারণে এই পদ্ধতিতে গরু পালনের দিকেও ঝুঁকছেন অনেক খামারিরা। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে এসব খামারে গরু লালন পালন করা হয়। সাধারণত অর্গানিক পদ্ধতিতে পালন করা গরুর দাম কোরবানির হাটে ওঠা একই ওজনের অন্য গরুর চেয়ে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বেশি হয়। খামারিরা বলছেন,স্টেরয়েড বা গরু মোটা তাজাকরণের জন্য অস্বাভাবিক কিছু ব্যবহার না করা,বিশেষ খাবার ও রুটিন মেনে গরু পালনের জন্যই এই দাম পাওয়া যায়।
রাজধানীর আমিনবাজারের কাছে মধুমতি মডেল টাউনের মধ্যে গড়ে উঠেছে ‘সাদাফ এগ্রো লি.’। শুরুতে এক’শটি গরু দিয়ে এ খামারের কার্যক্রম শুরু হয়। বিদেশি জাতের ওপর নির্ভর না করে বাংলাদেশি জাতের গরুগুলো পালন করা হয় এখানে। দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষকদের কাছ থেকে বেছে বেছে গরুগুলো নিয়ে আসা হয় সাদাফ এগ্রোতে। এখন এ খামারে একশটিরও বেশি ষাঁড় গরু রয়েছে।
প্রাকৃতিক উপায়ে গরুগুলো লালন পালন করার জন্য খামারের একপাশে গড়ে তোলা হয়েছে ঘাসের জমি। এসব ঘাসে কোনপ্রকার রাসায়ানিক ব্যবহার না করে খামারের গোবর ব্যবহার করা হয়। এছাড়া দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে সংগ্রহ করা খড়গুলোর সাথে নানা ধরনের ফসলের ভূষি ব্যবহার করা হয়। এছাড়া নামীদামী কোম্পানির দানাদার খাবার দেয়ার ফলে গরুগুলোর দেহ অনেক মজবুত হয়ে বেড়ে উঠেছে।
এ খামারের উদ্যোক্তা সাইদুল ইসলাম জানান, আমাদের দেশের খামারগুলোতে নানা উপায়ে গরু লালন পালন করা হয়। বাজারে নানা ধরনের খাবার পাওয়া যায়-যেগুলো খাওয়ানোর কারণে গরুর ওজন দ্রুত বেড়ে যায়। এসব গরুর মাংস খাওয়া শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর। তিনি আরো জানান,প্রাকৃতিক উপায়ে গরু পালন করার কারণে এ খামারে গরুর বৃদ্ধি খুব ধীরগতিতে হয়েছে। এ কারণে গরুগুলো সুস্থ ও সবল। শুধু খাবার নয়, গরুর চিকিৎসার ক্ষেত্রেও এখানে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। সাভার উপজেলা প্রাণীসম্পদ বিভাগ এ কাজে সাদাফ এগ্রোকে যথেষ্ঠ সহায়তা করেছে।
এছাড়া সাদাফ এগ্রোর বিশেষত্ব হচ্ছে খামারের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা। প্রতিদিন তিনবার করে গরুগুলোকে গোছল দেয়ার পাশাপাশি খামারের ফ্লোরও পরিস্কার করা হয়ে থাকে। খামারের পরিচালনায় একদল প্রশিক্ষিত কর্মীবাহিনী রয়েছে।
এনএম/
আরও পড়ুন