ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ব্র্যাক ব্যাংক কর্মকর্তাদের জন্য হৃদরোগ প্রতিরোধ ও সচেতনতা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:১৯, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯

বাংলাদেশে প্রতি চারজনের মধ্যে তিনজন মানুষ হৃদরোগের ঝুঁকি নিয়ে জীবনযাপন করছে।চিকিৎসকেরা হার্টের রোগগুলো নিয়ে চিন্তার কথা জানাচ্ছেন,যা দেশের জন্য ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনিয়মিত বা অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ এমন এক অবস্থা যা একবার হলে আজীবন এর চিকিৎসার প্রয়োজন, নয়তো রোগীর অক্ষমতা এবং এমনকি মৃত্যুর পর্যন্ত কারণ হতে পারে।

সম্প্রতি,ঢাকায় একটি ব্যাংকের একজন নারী কর্মকর্তার অফিসে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা কর্পোরেট কর্মকর্তাদের মধ্যে হৃদরোগ নিয়ে আলোচনাটিকে আবার সামনে নিয়ে এসেছে।অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, হার্ট অ্যাটাকের প্রাথমিক চিকিৎসা পদ্ধতি(সিপিআর ট্রিটমেন্ট)জানা না থাকায় তাঁর কোনো সহকর্মী তাকে সাহায্য করতে পারেননি।

এই প্রেক্ষাপটে,ঢাকার উত্তর গুলশান অঞ্চলের কর্মকর্তাদের জন্য ব্র্যাক ব্যাংক একটি স্বাস্থ্য সচেতনতা কার্যক্রম আয়োজন করে।স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের কার্ডিওলজি’র প্রাক্তণ বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডঃ মো.বদরুল আলম অধিবেশনটি পরিচালনা করেন এবং হার্টের সমস্যায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার কার্যকর ও প্রচলিত পদ্ধতিগুলো ব্যবহারিকভাবে দেখিয়ে দেন।

আয়োজনটি সম্পর্কে ব্র্যাক ব্যাংক এর হেড অব হিউম্যান রিসোর্সেস বিলকিস জাহান বলেন,“ব্র্যাক ব্যাংকে আমরা বিশ্বাস করি আমাদের কর্মীরাই আমাদের সবচেয়ে বড় সম্পদ।তাদের জন্য স্বাস্থ্যকর ও সহযোগিতাপূর্ণ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে আমরা সব সময় প্রয়োজনমতো চেষ্টা করি। আর সুস্থতার মূল সূত্রই সচেতনতা। বাংলাদেশে হৃদরোগ বেশ বেড়েছে। তাই সকল কর্মীকে স্বাস্থ্যসম্মত জীবনধারা সম্পর্কে সচেতন করা এবং আকষ্মিক ঝুঁকির জন্য প্রস্তুত রাখা সর্বোচ্চ গুরুত্বের বিষয়ে পরিণত হয়েছে। কর্মীদের কল্যাণের প্রতি সব সময়ই ব্র্যাক ব্যাংকের মূল মনোযোগ। আমি বিশ্বাস করি, এই সেশনটি কর্মীদের কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের ঘটনায় খুব দ্রুত যথাযথ পদক্ষেপ নিতে সহায়তা করবে।”
তিনি আরো বলেন,“পছন্দের শীর্ষ নিয়োগকর্তা হয়ে উঠবার লক্ষ্যে আমরা কর্মক্ষেত্রে আমাদের কর্মীদের নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করছি।”
কেআই/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি