ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

কমেনি পেঁয়াজের ঝাঁজ, বেড়েছে ডিম ও মুরগীর দাম 

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:৩৮, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯

Ekushey Television Ltd.

বাজারে এখনও কমেনি পেঁয়াজের ঝাঁজ। গত ১০ থেকে ১২ দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ২৫ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা। যদিও বাণিজ্যমন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তে কয়েকটি দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি ও টিসিবি’র কেজিপ্রতি ৪৫ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রির উদ্যোগে বাজারে কেজিতে ১০ টাকা কমেছিল। আজ শুক্রবার আবার তার দাম ১০ টাকা বেড়ে আগের বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের এ বাড়তি দামের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে ডিম ও মুরগীর দাম। প্রতি হালি ডিমের দাম বেড়েছে ৫ থেকে ৭ টাকা। আর প্রতি কেজি ব্রয়লারের দাম বেড়েছে ১০ টাকা।

রাজধানীর হাতিরপুল, কারওয়ান বাজার, মালিবাগসহ কয়েকটি বাজার ঘুরে দামের এই চিত্র দেখা গেছে। বাজারে দেশি বাছাই করা পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৮৫ টাকা, মাঝারি দেশি পেঁয়াজ ৮০ টাকা ও ভারতীয় পেঁয়াজ ৬৫ টাকা ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

আর প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকায় এবং প্রতিকেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা থেকে ১৪৫ টাকা ধরে। এছাড়া প্রায় সব ধরনের সবজির কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকার উপরে।

ব্যবসায়ীরা বলেছেন, সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে পেঁয়াজের দাম বাড়তি। ভারতে পেঁয়াজের দাম বাড়ানোর কারণে বাংলাদেশেও দাম বাড়ছে। তাদের যুক্তি আমদানী নির্ভর হওয়ায় দেশে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। আর সরবরাহ কম থাকায় দাম বাড়ছে ডিম ও ব্রয়লার মুরগীর। এছাড়া শীতের আগমনে সবজির দাম উর্ধ্বমুখি।

এদিকে দাম বেড়ে যাওয়ায় সম্প্রতি পেঁয়াজের সরবরাহ ঠিক রাখতে মিশর, মিয়ানমার ও তুরস্ক থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। বাজারে এই পেঁয়াজ আসলে দাম কমে যাবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা রয়েছে প্রায় ২৪ লাখ টনের মতো। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মতে, এবার দেশে পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে ২৩ লাখ টনের মতো। অবশ্য এর প্রায় ৩০ শতাংশ সংরক্ষণকালে পচে যায়। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে, গত বছর ভারত থেকে প্রায় ১১ লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে।

এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে ডিমের দামও। বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা ধরে। অর্থাৎ প্রতিটি ডিমের দাম পড়ছে ১০ টাকা। এক সপ্তাহ আগেও এই ডিমের হালি বিক্রি হয়েছে ৩২ থেকে ৩৫ টাকা ধরে।

ডিম বিক্রেতারা বলেন, ডিমের সরবরাহ কম। শীতের সময় ডিমের দাম একটু বাড়তি থাকে। সামনে শীতের মৌসুম আসছে তাই ডিমের দাম বাড়ছে। এছাড়া সার্বিকভাবে ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই মুরগির খামার বন্ধ করে দিচ্ছে। ফলে মুরগির দামের পাশাপাশি ডিমের দাম বাড়ছে।

তবে এই বাড়তি দামের সময়কাল দীর্ঘস্থায়ী হবে না বলে ব্যবসায়ীদের বিশ্বাস। তারা বলেন, সরবরাহ বাড়লে বাজারে অটোমেটিক দাম কমে যাবে। এসব পণ্যের দাম এই ভাবে উঠানামা করে। এটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া।

এছাড়া বাজারে সব ধরনের সবজির দাম উর্ধ্বমুখি। ৩৫ থেকে ৪০ টাকার নিচে কোনো সবজির দাম দেখা যায়নি। তবে শীতকালীন সবজি শীমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা ধরে।

সবজির দামের বিষয়ে হাতিরপুল বাজারের সবজি বিক্রেতা দুলাল হোসেন বলেন, বাজারে শীতের সবজি আসা শুরু হইছে। এখন সবজির দাম বাড়বে। প্রতিবছরই বাড়ে। বাজারে যখন সব ধরনের শীতের সবজি আসবে তখন দাম কমে যাবে।

আরকে/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি