জাপানি ইয়ানমার কম্বাইন হারভেস্টারের মাঠ প্রদর্শনী
প্রকাশিত : ১৯:৫৩, ১৩ অক্টোবর ২০১৯
কৃষিতে অগ্রসরমান বাংলাদেশের প্রধান সমস্যা শ্রমিক সংকট। ফসল কাটার সময় এই সমস্যা আরও তীব্র আকার ধারন করে। বাংলাদেশে ফসল কাটার মৌসুমে শ্রমিক সংকট প্রায় ৪০ শতাংশ। এই সময় ফসল কাটার জন্য কৃষককে অনেক বেশি অর্থ খরচ করতে হয়। যার ফল স্বরূপ কৃষক খরচের তুলনায় পর্যাপ্ত লাভ পাচ্ছে না। এই সমস্যার সমাধান হিসেবে এ সি আই মটরস্ নিয়ে এসেছে সেন্সর বিশিষ্ট ইয়ানমার কম্বাইন হারভেস্টার।
এ সি আই মটরস্ এর উদ্যোগে গত ১৩ অক্টোবর ২০১৯ আজিমপুর, সিঙ্গাইর, মানিকগঞ্জ এ ইয়ানমার কম্বাইন হারভেস্টার এর মাঠ প্রদর্শনী কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়। উক্ত কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন এমেরিটাস প্রফেসর ডঃ সাত্তার মন্ডল, এ সি আই মটরস্ লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক সুব্রত রঞ্জন দাস, খামারবাড়ি, কৃষি গবেষণা ইন্স্টিটিউট, ধান গবেষণা ইন্স্টিটিউটের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে ইয়ানমার হারভেস্টার ও ট্রান্সপ্লান্টার এর আগ্রহী ও গর্বিত ক্রেতাগণ ও এসিআই মটরস্ এর অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের জমি ও ফসল উপযোগী অত্যাধুনিক সেন্সর বিশিষ্ট ইয়ানমার কম্বাইন হারভেস্টার দ্বারা কাঁদা ও শুয়ে পড়া জমির ধান/গম কাটা, মাড়াই, ঝাড়াই ও বস্তাবন্দী করা যায়, ১ একর জমির ধান/গম কাটতে সময় লাগে মাত্র ১ ঘণ্টা, এবং প্রতি একরে জ্বালানী খরচ হয় মাত্র ৭-৮ লিটার ডিজেল। প্রতি একরে খরচ বাদে লাভ হয় সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা। এতে খরচ বাঁচে ৬১ শতাংশ ও শ্রম বাঁচে ৭০ শতাংশ। এই হারভেস্টার দারা দিনে প্রায় ৮ একর জমির ধান কাঁটা যায়। তাহলে দিনে কৃষক ভাইয়ের লাভ থাকে প্রায় ৩২ হাজার টাকা। এক সিজনে কৃষক প্রায় ১০ হাজার ১২ লাখ টাকা উপার্জন করতে পারে।
কৃষককে আর শ্রমিক সমস্যা নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। ধান এর উৎপাদন খরচ কমে আসবে। কৃষক তার ধান এর ন্যায্য মূল্য পাবে। সেই সাথে বাংলাদেশ হবে কৃষিতে সমৃদ্ধশালী।
আরকে//
আরও পড়ুন