দ্রুতবর্ধনশীল ব্রান্ড হিসেবে ইভ্যালিকে এশিয়া ওয়ানের স্বীকৃতি
প্রকাশিত : ১৩:২৫, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০ | আপডেট: ১৩:২৬, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০
বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল ব্র্যান্ড হিসেবে ইভ্যালিকে স্বীকৃতি দিয়েছে আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে জনপ্রিয় সাময়িকী এশিয়া ওয়ান।
একইসঙ্গে ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে মোহাম্মদ রাসেলকেও স্বীকৃতি দিয়েছে এশিয়া ওয়ান।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে এশিয়া ওয়ানের এক জমকালো আয়োজনে আনুষ্ঠানিকভাবে এ স্বীকৃতির ঘোষণা দেয়া হয়।
স্বীকৃতির অংশ হিসেবে ইভ্যালি এবং মোহাম্মদ রাসেলের হাতে পদক তুলে দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে আয়োজকদের পক্ষ থেকে ইভ্যালি সম্পর্কে বলা হয়, যাত্রা শুরুর খুবই অল্প সময়ের মাঝে বাংলাদেশে ইভ্যালি নিজের একটি ব্র্যান্ড তৈরি করতে সমর্থ হয়েছে।
একইসঙ্গে দেশের গ্রাহক শ্রেণীর মাঝে ই-কমার্সের বিস্তারে ইভ্যালি এবং এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ রাসেল দারুণভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
তাই গ্রাহক এবং ইন্ডাস্ট্রি সংশ্লিষ্টদের বিবেচনায় দেশটির দ্রুত বর্ধনশীল ব্র্যান্ড ইভ্যালি এবং বিজনেজ লিডার মোহাম্মদ রাসেল।
পুরস্কার অর্জন সম্পর্কে নিজ প্রতিক্রিয়ায় মোহাম্মদ রাসেল বলেন, এমন একটি আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্ম থেকে পুরস্কার ও সম্মাননা পাওয়া সত্যিই আনন্দের। এর আগেও বাংলাদেশের শীর্ষ উদ্যোক্তা, ব্যবসায়ী ও ব্যক্তিত্বদের সম্মাননা জানিয়েছে এশিয়া ওয়ান। তাই আনন্দের মাত্রা আরও বেশি। তবে দেশের জন্য এই অর্জিত সম্মানের মূল কৃতিত্ব ইভ্যালির গ্রাহক, বিক্রেতা, গণমাধ্যম এবং সর্বোপরি ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখা সরকারের।
তিনি বলেন, এরা সবাই মিলে একটা ইকো-সিস্টেম যা আমাদের এত দ্রুত এমন দারুণ কিছু করার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। এমন সম্মাননা দেশের ই-কমার্স খাত এবং গ্রাহকদের প্রতি আমাদের দায়বদ্ধতা ও প্রতিশ্রুতি আরও বাড়িয়ে দিল।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১৬ ডিসেম্বর সম্পূর্ণ দেশিয় উদ্যোগে যাত্রা আরম্ভ করে ই-কমার্স ভিত্তিক মার্কেটপ্লেস ইভ্যালি ডট কম ডট বিডি। যাত্রা শুরুর অল্পকিছু দিনের মাঝেই চমকপ্রদ অফার এবং আকর্ষণীয় ব্র্যান্ডিং এ দ্রুত জনপ্রিয়তা অর্জন করতে শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। মাত্র এক বছরের কিছু বেশি সময়ে প্রায় শত কোটি টাকার মূল্যের পণ্য গ্রাহকদের কাছে সরবরাহ করতে সক্ষম হয়েছে ইভ্যালি।
মার্কেটপ্লেসটিতে এখন ২০ হাজারের ওপর সেলার এবং ১২ লাখের বেশি নিবন্ধিত গ্রাহক আছেন । মাত্র ১০ জন কর্মী নিয়ে যাত্রা শুরু করা প্রতিষ্ঠানে এখন প্রায় দুই শতাধিক কর্মী কাজ করছেন। এদের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান এবং বিভিন্ন বিভাগের প্রধানের মতো উচ্চ পদ ছাড়াও বিভিন্ন পদে কর্মরতদের প্রায় ৪০ শতাংশ নারী কর্মী।
এমবি/
আরও পড়ুন