ঢাকা, বুধবার   ০৬ নভেম্বর ২০২৪

করোনার চিকিৎসায় প্রয়োজনে চীনের মতো হাসপাতাল: অর্থমন্ত্রী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৮:১৯, ১৮ মার্চ ২০২০ | আপডেট: ১৮:২৮, ১৮ মার্চ ২০২০

করোনা ভাইরাস চিকিৎসা কিংবা নিয়ন্ত্রণে যত টাকা প্রয়োজন হবে তা দিতে সরকার প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, প্রয়োজনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় যদি চীনের মতো বিশেষ হাসপাতাল তৈরির উদ্যোগ নেয়, তাতেও অর্থায়ন করা হবে।

আজ বুধবার (১৮ মার্চ) অর্থ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, যে ভাইরাস নিয়ে সারা বিশ্ব বিপদে আছে, আমরা সেই ভাইরাস থেকে মুক্ত আছি বলতে পারব না। যাতে করে (সংক্রমণ) কম রাখা যায় সে কাজটি করতে হবে। আমাদের এখন অভিজ্ঞতা রয়েছে। চায়না (চীন) যখন শুরু করেছিল তাদের অভিজ্ঞতা ছিল না।

তিনি বলেন, সবাই সবার জায়গা থেকে বলতে হবে কীভাবে সবাই (করোনা ভাইরাস থেকে) মুক্ত থাকতে পারব। এটি সকলের দায়িত্ব। আমি আপনাদের আশস্ত করতে পারি, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ফেস করছে…আর্থিক সক্ষমতা তাদের নেই, এটি ঠিক না।

‘আমাদের আর্থিক সক্ষমতা রয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের (যদি) যন্ত্রপাতি বা লজিস্টিক সাপোর্ট দরকার হয়, সেখানে চায়না যেভাবে হাসপাতাল করেছে, সে ধরনের কোনোস হাসপাতাল (যদি) করতে হয়, কম সময়ের মাঝে, স্পেসেফিক পারপাস (বিশেষ উদ্দেশ্যে) বিল্ড হাসপাতাল, এগুলো করার জন্য আমি বিশ্বাস করি প্রধানমন্ত্রী কখনো না করবেন না অর্থায়ন করার জন্য। আমরাও সকলভাবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে সাহায্য করব অর্থায়ন করে, যাতে তাদের কাজগুলো সুন্দরভাবে এবং প্রয়োজনীয়তার তুলনায় কোনোভাবে পিছিয়ে না থেকে কাজগুলো করতে পারে।’

করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ৫০ বিলিয়ন ডলার অর্থ বরাদ্দ করেছে। সেই টাকা বাংলাদেশ পাবে কি-না জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, আইএমএফ টাকা দিলে আমরাও পাব। অন্যান্যরাও দেবে। কোনো আন্তর্জাতিক মহল থেকে সাহায্য-সহযোগিতা পেলে অবহিত করা হবে।

মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে প্রথমবারের মত বাংলাদেশে একজন মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আজ বুধবার (১৮ মার্চ) এ তথ্য জানিয়েছেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

তিনি বলেন, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তির বয়স ৭০ এর বেশি। তিনি বিদেশে যাননি। বিদেশ থেকে আসা একজনের দ্বারা তিনি সংক্রমিত হয়েছেন। তিনি ডায়াবেটিক, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি সমস্যা ও হৃদরোগে ভুগছিলেন।

মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা বলেন, নতুন করে ৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ জন। নতুর করে আক্রান্তের মধ্যে একজন নারী ও ৩ জন পুরুষ। আক্রান্তদের একজন আগে যারা আক্রান্ত ছিলেন তাদের পরিবারে সদস্য। বাকি তিন জন বিদেশ থেকে এসেছেন। এদের ২ জন ইতালি, একজন কুয়েত থেকে এসেছেন।

আরকে//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি