পেঁয়াজের ঝাঁজ কমলেও চড়া সবজির দাম
প্রকাশিত : ১৬:৫৮, ২১ মার্চ ২০২০
রাজধানীজুড়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে কমেছে পেঁয়াজের ঝাঁজ। আজ শনিবার রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এমন তথ্য মিলেছে। তবে কিছুটা অশ্বস্তি দেখা দিয়েছে সবজির বাজারে।
রাজধানীর কারওয়ান বাজার, রামপুরা, খিলগাঁও অঞ্চলের বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত চার দিনের তুলনায় পেঁয়াজের দাম অনেকটা কমেছে।
গত মঙ্গলবারের আগ পর্যন্ত দেশি পেঁয়াজ পাইকারিতে ৩৫ টাকা আর খুচরা বাজারে ৪০ টাকায় বিক্রি হয়ে আসছিল। করোনার প্রকোপকে পুঁজি করে দাম বাড়িয়ে দেয় একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। ফলে কেজিতে বেড়ে যায় ২০ থেকে ৩০ টাকা।
এমন অবস্থায় জোরেসোরে মাঠে নামে বাজার নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দেশি পেঁয়াজ ৭০-৮০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছিল। তবে অভিযান চালানোর পর শুক্রবার থেকে কমতে থাকে দাম। যা আজ শনিবারে এসে আরও কমেছে।
তবে বাজার ও ব্যবসায়ী ভেদে পেঁয়াজের দাম ভিন্ন ভিন্ন রাখা হচ্ছে। এমনকি একই বাজারে একই মানের পেঁয়াজের দাম দু’ব্যবসায়ীর নিকট দু’রকম। এতে করে ক্রেতাদের মাঝে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে। তবে সব ব্যবসায়ী গতকালের তুলনায় আজ কম দামে বিক্রি করছেন।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, দেশি পেঁয়াজে রমরমা আড়ৎগুলো। যেখানে গুণগত মান অনুযায়ী পাইকারিতে কেজি প্রতি নেয়া হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা। যা খুচরায় ৪০ থেকে ৫০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। তবে, পাইকারি ও খুচরায় আমদানিকৃত পেঁয়াজের কিছুটা দাম বেশি।
কারওয়ান বাজারে সাইফুল ইসলাম নামে এক পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ীকে ৪০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি করতে দেখা যায়। জানতে চাইলে এই ব্যবসায়ী একুশে টিভি অনলাইনকে জানান, ‘গতকাল শুক্রবারও এই পেঁয়াজ ৬৫ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি করেছি। যা আজ ৩৫ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি করছি। ভোক্তা অধিকার থেকে নিয়মিত অভিযান চালানোয় মূলত দাম অনেকটা কমেছে।’
পেঁয়াজ কিনতে আসা রোকনুজ্জামান বলেন, ‘করোনার প্রভাবে দাম বাড়ার আশঙ্কায় অনেকে অন্যান্য জিনিসের পাশাপাশি পেঁয়াজও মজুদ রাখার চেষ্টা করছেন। ফলে, ব্যবসায়ীরা এটাকে পুঁজি করে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। তবে অভিযান অব্যহত থাকলে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।’
তবে পেঁয়াজের ঝাঁজ কমলেও চড়া সবজির বাজার। বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত দু’দিনের তুলনায় আদা, রসুন, ঢেড়সে বাড়তি দাম নেয়া হচ্ছে।
দেশি রসুন গত বৃহস্পতিবারও যেখানে ছিল ৮০-৯০ টাকা তা বেড়ে হয়েছে ১২০ টাকা। ভারতীয় রসুন বেড়ে হয়েছে ১৬০-১৭০ টাকা।
১০০-১২০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া আদার দাম বেড়ে হয়েছে ১৫০-৭০ টাকা। তবে আলুতে দাম ততটা বাড়েনি। সাদা আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা আর লাল ২২ টাকায়।
এদিকে কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজির বাজারে কিছুটা অশস্তি। করলা ৪৫-৬০ টাকা, বরবটি ৫০-৬০ টাকা, শশা ২০-৩০ টাকা, পেঁপে ৩০-৪০ টাকা, পাকা টমেটো ২০-৪০ টাকা, শিম ৪০-৫০ টাকা, গাজর ৩০-৩৫ টাকা, শালগম ২৫-৩০ টাকা, মুলা ১৫-২০ টাকা, বেগুন ৩০-৪০ টাকা, পটল ৪০-৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। তবে নতুন করে আর দাম বাড়ার কোনো সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
আরকে//
আরও পড়ুন