২ হাজার অসহায় পরিবারের পাশে সিএসআর উইন্ডো বাংলাদেশ
প্রকাশিত : ২২:১২, ১১ এপ্রিল ২০২০
সারাদেশের অসহায় মানুষ আজ প্রায় কর্মহীন। একসময় কেউ ঝালমুড়ি বিক্রি করতো, কেউ বাসের ড্রাইভার ছিল, কেউ মুচির কাজ করতো-এখন অনেকেই বেকার হয়ে পড়েছে। সেরকম ২০০০ পরিবারের পাশে এসে দাড়িয়েছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সিএসআর উইন্ডো বাংলাদেশ। পৌঁছে দিচ্ছে খাদ্য সামগ্রী। তাদের এ কাজে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিটেড। সারাদেশের ১৮টি জেলায় এ সহায়তা কর্মকান্ড পরিচালিত হচ্ছে।
এই প্রসঙ্গে সিএসআর উইন্ডো বাংলাদেশ-এর সমন্বয়কারী আহসান রনি বলেন, আমরা মানুষের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনে বিশ্বাসী। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখবো কিন্তু দায়বদ্ধতা থেকে পিছিয়ে আসতে চাই না। সিএসআর উইন্ডো বাংলাদেশের মাধ্যমে আমরা সমাজের জন্য কিছু করতে চাই। তিনটি ধাপে এই খাদ্য বিতরণ কর্মসূচি পরিচালিত হচ্ছে। যে জেলাগুলো নির্ধারণ করা হয়েছে, তা হলো- চাঁদপুর, নীলফামারী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, শরিয়তপুর, টাঙ্গাইল, নওগাঁ, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, ঝিনাইদহ, নাটোর, চুয়াডাঙ্গা, হবিগঞ্জ, ভোলা, সিলেট, জামালপুর, রংপুর, কুড়িগ্রাম, এবং রাজশাহী। প্রায় ২ হাজার পরিবারের সঙ্গে আমরা সম্পর্ক গড়ছি। কারণ, তারা তো আমাদেরই স্বজন। প্রতিটি পরিবারের জন্য এক একটি ব্যাগে থাকছে চাল, ডাল, তেল, আলু, পেয়াজ, সাবানসহ নিত্য প্রয়োজনীয় নানান খাদ্য সামগ্রী।
এই খাদ্য সামগ্রী বিতরণের জন্য সিএসআর উইন্ডো বাংলাদেশ-এর কাইন্ডনেস অ্যাম্বাসেডর বা স্বেচ্ছাসেবকরা নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। চাঁদপুরের জুবায়ের মাহমুদ, নীলফামারীর মো: মহিবুল্লাহ আকাশ ও মো: মুনজুরুল হাসান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কাউসার আহমেদ, শরীয়তপুরের ইমন হাসান, টাঙ্গাইলের শফিকুল ইসলাম শিহাব, নওগাঁর মামুনুর রেজা, সিরাজগঞ্জের তানভির আনজুম তুষার, পাবনার মিজানুর রহমান, ঝিনাইদহের ইমামুল ইসলাম, নাটোরের হাসান আলী ও আশিকুর রহমান, চুয়াডাঙ্গার রাজু আহমেদ, হবিগঞ্জের কে এম শাহ আলম, ভোলার মো: শাহ পরান জয়, সিলেটের রনি পাল, জামালপুরের আল আমিন, রংপুরের রব প্রধান, কুড়িগ্রামের মাহামুদুর হাসান, রাজশাহীর মো: রিমন চৌধুরীর নেতৃত্বে সংগঠিত স্বেচ্ছাসেবক দল গ্রামে, গঞ্জে, প্রত্যন্ত এলাকায় তাদের সম্পর্কের উপহার নিয়ে পৌছে যাচ্ছেন। কেন্দ্র থেকে পুরো কর্মসূচি আহসান রনির সঙ্গে সহ-সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করছেন শাদমান সাকিব অনিক।
এর আগে বিভিন্ন জেলায় ৮০ লাখ মানুষকে মাইকিং, লিফলেট এবং পোস্টার প্রর্দশনের মাধ্যমে সচেতন করা হয়েছে। তা ছাড়া সামাজিক দূরত্ব সৃষ্টিতে ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলোতে ৩ ফিট দূরত্বে জীবানুনাশক স্প্রে ও দাঁগ এঁকে দেওয়া হচ্ছে।
আরকে
আরও পড়ুন