স্বাস্থ্যবিধি মেনে উৎপাদন কাজ করছে চট্টগ্রামের হাফিজ জুট মিল
প্রকাশিত : ১৪:৪৬, ১৭ মে ২০২০ | আপডেট: ১৪:৪৭, ১৭ মে ২০২০
হাফিজ জুট মিলের ফটক- একুশে টেলিভিশন
বাংলাদেশসহ বিশ্ব করোনা মহামারী সংকটময় অবস্থায় চট্রগ্রামের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাষ্ট্রীয় পাটকল হাফিজ জুট মিল কতৃপক্ষ সিবিএ ও নন সিবিএ ঐক্যবদ্ধভাবে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে কারখানায় উৎপাদন শুরু করছে।
শ্রমিকদের সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরন করে কারখানা চালু করতে বিনা মূল্যে মাস্ক বিতরণ, থার্মাল স্কানারে তাপমাত্রা পরিমাপ, হ্যান্ড স্যানিটেশন ব্যবস্থা গ্রহণ, জীবাণুনাশক স্প্রে টানেল স্থাপন করা হয়েছে। স্প্রে টানেলের তত্তবধায়ক ও চিকিৎসক রাশেদ খান জানান, এখানে আমরা যে জীবানুনাশক স্প্রে তৈরী করেছি তা দৈনিক ১০০০ লিটার তিন শিপটের আড়াই হাজার শ্রমিকের জন্য ব্যবহারে ২৪ ঘন্টায় খরচ হবে ১ কেজি ডিটারজেন্ট পাউডার, ২০০গ্রাম ব্লিচিং পাউডারের জন্য দুই থেকে আড়াই শত টাকা।
সিবিএ সাধারণ সম্পাদক মাহবুব জানায়, বাংলাদেশের কোন সরকারী মিলে এই জীবানুনাশক স্প্রে টানেলটি তৈরি করা হয়নি শুধুমাত্র হাফিজ জুট মিলে সিবিএ, ম্যানেজমেন্ট ও চিকিৎসা কর্মকর্তা মিলে শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক রবিউল হক জানান, লক ডাউনের পর মিল চালু করতে শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য গৃহিত পদক্ষেপ সত্যিই প্রশংসার দাবিদার।
কারখানায় কর্মরত শ্রমিকরা জানান, আমরা বিভিন্ন স্থান থেকে এসে এক সাথে কাজ করার ক্ষেত্রে করোনা ভাইরাসের সংক্রামনে চিন্তিত ছিলাম। কর্তৃপক্ষের এমন উদ্যোগে আমরা জীবাণুমুক্ত হয়ে কর্মস্থলে প্রবেশ করে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে কাজ করতে পারছি বলে শঙ্কামুক্ত আছি।
মিলের প্রকল্প প্রধান আহসান কবীর জানান, বিশ্বব্যাপি মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারনে শ্রমিকের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে কারখানা পরিচালনা করার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সরকারী নির্দেশনা রয়েছে। আমাদের বিশেষ কিছু বস্তা তৈরির চাহিদা থাকার কারনে এবং বিজেএমসির নির্দেশনা অনুসারে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য জীবাণুনাশক স্প্রে টানেল, থার্মাল স্কানার ও হ্যান্ড স্যানিটেশনের ব্যবস্থা করে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরন করে কারখানা চালু করেছি। এতে করে দুই হাজারের বেশি শ্রমিকের নিরাপদে কাজের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে আমরা বিএডিসি ও খাদ্য অধিদপ্তরের সাড়ে ১৫ লাখ চটের বস্তা সরবরাহ করে সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডে সার্বিক অবদান রাখতে পারবো ইনশাআল্লাহ।
এমএস/
আরও পড়ুন