ভিডিও দেখুন
নোবিপ্রবিতে স্বাধীনতার স্মারক ‘মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি ভাস্কর্য’
প্রকাশিত : ১৫:৪৬, ২৬ ডিসেম্বর ২০২০
‘এ পৃথিবী অবাক তাকিয়ে রয়, জ্বলে-পুড়ে-মরে ছারখার, তবু মাথা নোয়াবার নয়’ এই চেতনায় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৪ সালে নির্মিত হয় ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ভাস্কর্য’। এই ভাস্কর্যে একাত্তরের জয়ের মুহূর্ত তুলে ধরা হয়েছে। তিন মুক্তিযোদ্ধা জয়ের উল্লাস করছেন; পেছনে বিজয় নিশান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান চত্বরে নির্মিত এই ভাস্কর্য কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বাংলার নারী-পুরুষের মুক্তি সংগ্রামের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। ভাষা আন্দোলন, স্বাধিকার আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধ- তিনটি ধাপ ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ভাস্কর্যটিতে। এছাড়াও বাংলার মানুষের মুক্তির দীর্ঘ আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ চারটি খণ্ডচিত্র মূল বেদীর চারদিকে টেরাকাটার মাধ্যমে উৎকীর্ণ করা আছে।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রয়েছে ভাষা আন্দোলনের বীর শহীদদের স্মরণে আরেকটি ভাস্কর্য।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলছেন, ‘এই ভাস্কর্যকে অপমান করা মানে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছে তাদের অপবাদ দেয়া। এগুলো আমাদের গৌরব উজ্জ্বল ইতিহাস বহন করে। তাই ভাস্কর্যের বিরোধীতার কিছু নেই।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ছাড়াও প্রতিদিন এ ভাস্কর্য দেখতে আসেন সব প্রজন্মের মানুষ। ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা বলেন, ‘যারা আজ ভাস্কর্যের বিরোধীতা করছেন, তারা মূলত প্রতিযোগিতামূলক বিশ্ব থেকে বাংলাদেশকে পিছিয়ে দেয়ার পায়তারা করছেন।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি সভাপতি নেওয়াজ মো. বাহাদুর বলেন, ‘এ দেশ সৃষ্টি পেছনে বঙ্গবন্ধুর যে অবদান, তার পরিচিতি ও অবদানকে স্মরণ করাই আমাদের মূল উদ্দেশ্যে।’
ভাস্কর্যের বিরোধীতা যারা করছে তারা মূলত বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসকে মুছে ফেলার অপচেষ্টা চালাচ্ছে মন্তব্য করে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. দিদার উল আলম বলেন, ‘তুরস্ক, লিবিয়া, পাকিস্তানেও ভাস্কর্য আছে। তারা তো আমাদের চেয়েও ধর্মকে অনেকটা গুরুত্ব দেয়। দেশটা খুব সুন্দর এগিয়ে যাচ্ছে, এটাকে থামানো জন্যই মূলত এই পায়তারা। ‘
বাঙালির স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধুকে জানা এবং স্মরণ করার জন্য ভাস্কর্যের বিকল্প বলে নেই মনে করে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক সমাজ।
দেখুন ভিডিও :
এআই/ এসএ/
আরও পড়ুন