বঙ্গবন্ধু খনিজ সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও আহরণে গুরুত্ব দিয়েছিলেন
প্রকাশিত : ১৮:৩২, ২৮ ডিসেম্বর ২০২০
বঙ্গবন্ধু এমন একজন ব্যক্তি যিনি বাংলাদেশকে স্বাধীনতা পরবর্তী ধ্বংসস্তূপ থেকে বুদ্ধি, মেধা ও বিচক্ষণতার মাধ্যমে আলোকিত করেছেন। স্বাধীনতা পরবর্তী সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে বাংলাদেশের খনিজ সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও আহরনেরর উপর গুরুত্ব দিয়েছেন। তারই অংশ হিসেবে বাংলাদেশের খনিজ সম্পদ আহরণ এবং পর্যবেক্ষেনের জন্য স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে 'বাংলাদেশ অয়েল এন্ড মিনারেল কর্পোরেশন' প্রতিষ্ঠা করেন যা পরবর্তীতে 'পেট্রোবাংলা' নামে রূপান্তরিত করেন।
বঙ্গবন্ধু 'সেল অয়েলস' নামক বিদেশি কোম্পানির কাছ থেকে তৎকালীন আবিষ্কৃত দেশের পাঁচটি বড় বড় গ্যাসক্ষেত্র ক্রয় করে করপোরেশন অন্তর্ভুক্ত করেন।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন তা বাস্তবায়নে তরুণ প্রজন্মকে অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের 'ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা' বিভাগ কর্তৃক আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ-২০২০ উপলক্ষে "বাংলাদেশের খনিজ সম্পদ: বঙ্গবন্ধুর অবদান ও ভাবনা" বিষয়ক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা (মন্ত্রী) ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, বীর বিক্রম।
ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ. এস. এম. মাকসুদ কামাল। মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. বদরুল ইমাম। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল বলেন, বঙ্গবন্ধু এমন একজন ব্যক্তি যিনি বাংলাদেশকে হাজার বছর সামনে থেকে দেখতে। তিনি ১৯৭৪ সালে টেরিটোরিয়াল ওয়াটার এন্ড মেরিটাইম ওয়াটার কনস্টিটিউশন করেন, যার মাধ্যমে বাংলাদেশকে তিনি অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।
ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় 'বাংলাদেশের খনিজ সম্পদ: বঙ্গবন্ধুর অবদান ও ভাবনা' শীর্ষক একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. বদরুল আলম। আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান আবু জাফর মিয়া।
সভাটি সঞ্চালনা করেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও রেজিস্টার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো. মুহসিন উদ্দিন । আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক মন্ডলী, বিভিন্ন দপ্তর প্রধানগণ, পরিচালকবৃন্দ, ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীবৃন্দ।
আরকে//
আরও পড়ুন