ঢাকা, শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪

রাবি উপাচার্যসহ পাঁচজনকে আইনি নোটিশ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:০৩, ৫ এপ্রিল ২০২১

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য এম আবদুস সোবহানসহ পাঁচজনকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ২০১৯ সালের (এমএসএস) পরীক্ষার ফল বিপর্যয়, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সভাপতি ড. সৈয়দ আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরীর স্বেচ্ছাচারিতা, পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ও ফলাফলের পুনর্মূল্যায়নের জন্য শিক্ষার্থীদের পক্ষে আইনজীবী নূর-এ-কামরুজ্জামান ওই নোটিশটি পাঠান।

রোববার (৪ এপ্রিল) এ আইনি নোটিশটি পাঠানো হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

আইনি নোটিশপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. আনন্দ কুমার সাহা ও প্রফেসর চৌধুরী মো. জাকারিয়া, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) আবদুস সালাম এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সভাপতি ড. সৈয়দ আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে।

নোটিশে উল্লেখ করে বলা হয়, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে ভর্তি হবার পর সকল বর্ষে সকলেই ভালো ফলাফল অর্জন করে। এর মধ্যে ১ জন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে প্রথম স্থান অধিকার করে স্বর্ণপদক পেয়েছিল, আরেকজন ইউজিসির বৃত্তি লাভ করে। তাদের এই অর্জনে পূর্ববতী সভাপতি ও শিক্ষকগণ অনুপ্রেরণা দিয়েছেন।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রদত্ত ১৯৭৩ অ্যাক্ট অনুযায়ী পরিচালিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাক্টের প্রথম স্ট্যাটিউটের ৩(১) দ্বারা মোতাবেক বিভিন্ন বিভাগের সভাপতি নিয়োগ দান করা হয়। কিন্তু আইন ভঙ্গ করে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক ড. সৈয়দ আবদুল্লাহ আল মামুনকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সভাপতি নিয়োগ দেন বর্তমান উপাচার্য। 

ড. সৈয়দ আবদুল্লাহ আল মামুনের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণের পর বিভাগের সকল শিক্ষার্থীর জীবনে দুঃসময় নেমে আসে। তার স্বেচ্ছাচারিতা, ক্ষমতার অপব্যবহার, শিক্ষার্থীদের ভয় ভীতি প্রদর্শন, পক্ষপাতিত্ব, ক্লাস ও পরীক্ষা গ্রহণে দায়িত্বে অবহেলা, অনৈতিক কার্যকলাপের কারণে বিভাগের ফলাফল খারাপ হয়।

এর আগে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, দুই উপ-উপাচার্য, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (বর্তমানে তিনি রেজিস্ট্রার), ছাত্র উপদেষ্টা, কলা অনুষদের ডিন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিনের কাছে আবেদন করলেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেননি।

যার ফলশ্রুতিতে গত ৩০ মার্চ (বৃহস্পতিবার) এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ব্যবস্থা না নেয়ায় বাধ্য হয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি, ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহিদুল্লাহ বরারব চিঠি দিয়েছেন উক্ত বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

এই আইনি নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে সব উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়ন করে পুনরায় ফলাফল প্রকাশ এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। নয়তো মোয়াক্কেলগণ উপযুক্ত আদালতে মামলা দায়ের বাধ্য থাকিবে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম জানান, তিনি এখনও সেই আইনি নোটিশ পাননি। পাওয়ার পর এ বিষয়ে মন্তব্য করবেন।
এএইচ/এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি