ঢাকা, শুক্রবার   ০১ নভেম্বর ২০২৪

ছাত্র লাঞ্ছনার দায়ে জাবির ২ ছাত্রী বহিষ্কার

জাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ০৮:৩১, ২৬ জানুয়ারি ২০২২ | আপডেট: ০৮:৪০, ২৬ জানুয়ারি ২০২২

ছাত্র লাঞ্ছনায় অভিযুক্ত দুই ছাত্রীকে বহিষ্কার করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশন। বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের চতুর্থ বর্ষের (৪৬ ব্যাচ) শিক্ষার্থী। প্রধান অভিযুক্ত সুমাইয়া বিনতে ইকরামকে এক বছর এবং তার সহযোগী আনিকা তাবাসসুম মিমকে ছয় মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) রাতে জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। 

সিন্ডিকেট সদস্য ও কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ হানিফ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।   

ক্যাম্পাসের বটতলায় সোমবার রাত ১০টার দিকে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সুমাইয়া বিনতে ইকরামের বিরুদ্ধে এক ছাত্রকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠে। 

প্রত্যক্ষদর্শী তানিয়া আক্তার জানান, রাত ৮টার দিকে সুমাইয়া বিনতে ইকরাম ও তার বান্ধবী আনিকা তাবাসসুম মিম ভুক্তভোগী ও তার বন্ধুদের সাথে রাস্তায় সাইড দেয়াকে কেন্দ্র করে দুর্ব্যবহার করেন। এসময় পথচারী অন্যান্য শিক্ষার্থীরা তাকে থামানোর চেষ্টা করলে সুমাইয়া বিনতে ইকরাম তাদের সাথেও দুর্ব্যবহার করেন। 

ঘটনার একপর্যায়ে রাত ১০টার দিকে একটি খাবারের হোটেলের সামনে ভিকটিম সুমাইয়া বিনতে ইকরামের ছেলেবন্ধুর সাথে কথা বলার সময় সুমাইয়া হঠাৎ করে ভিকটিমকে কয়েকটি চড় মারেন। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অন্যান্য শিক্ষার্থীরা তার উপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।

এরপর রাত সাড়ে ১১টার দিকে উভয়পক্ষই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে লিখিত বক্তব্য জমা দেয়। এসময় অভিযুক্তর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন শিক্ষার্থীরা। 

এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিসিপ্লিনারি বডির মিটিংয়ে অভিযুক্তদের বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়। যা পরর্বতীতে সিন্ডিকেট সভায় পাস হয়।

ভুক্তভোগী ছাত্র বলেন, এটি সত্যিই লজ্জার ও দুঃখজনক ঘটনা। আমরা প্রিন্টের কাজে যাচ্ছিলাম। তখন ৪৬ ব্যাচের ওই শিক্ষার্থী উচ্চস্বরে সাইট চাইলে আমি বলি- আপু রাস্তার তো ৭০ ভাগই খালি আছে। এই কথায় সে চিৎকার চেচামেচি করতে থাকে। পরে বিষয়টি সমাধান করতে তার বয়ফ্রেন্ড ডাকলে হঠাৎ ওই শিক্ষার্থী আমাকে ধাপ্পড় মেরে বসে।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি