গবিতে নারী মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান
প্রকাশিত : ১৫:০০, ৮ মার্চ ২০২২
নারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দিচ্ছেন উপাচার্য অধ্যাপক মো. আবুল হোসেন
‘টেকসই আগামীর জন্য, জেন্ডার সমতাই আজ অগ্রগণ্য’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে গণ বিশ্ববিদ্যালয়, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র এবং এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান সমূহের যৌথ আয়োজনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ মার্চ) সকালে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও গণ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দুটি র্যালীর আয়োজন করা হয়। এরপরে মানববন্ধন, আলোচনা সভা শেষে মুক্তিযুদ্ধে বিভিন্ন সেক্টরে অবদান রাখা নারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা দেয়া হয়।
সম্মাননা প্রাপ্ত ৬ নারী বীর মুক্তিযোদ্ধা হলেন- সিরাজগঞ্জের ৭নং সেক্টরের ভানু খাতুন, রাহেলা খাতুন, ছামেনা খাতুন এবং বিশ্রামগঞ্জের ২নং সেক্টরের গীতা মজুমদার, ইরা কর ও পদ্মা রহমান।
বীর মুক্তিযোদ্ধা এসব নারীরা বক্তব্য প্রদানকালে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেক লাঞ্ছনার শিকার হয়েছি আমরা। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও বাংলাদেশ সরকারের সহায়তায় এখন আমরা ভালো আছি। সকলের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে এখন মনে হয় যে মুক্তিযুদ্ধ করে আমরা স্বার্থক।
এ সময়, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র ট্রাস্টের সভাপতি অধ্যাপক আলতাফুন্নেসা মায়ার সভাপত্বিতে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য (চলতি দায়িত্ব) অধ্যাপক মো. আবুল হোসেন। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এস. তাসাদ্দেক আহমেদ, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, নারী পক্ষের আন্দোলন সম্পাদক তামান্না খান প্রমুখ।
উল্লেখ্য, স্বাধীন বাংলাদেশে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র হচ্ছে প্রথম স্বাস্থ্য কেন্দ্র বা হাসাপাতাল। মুক্তিযুদ্ধে যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদরে চিকিৎসায় গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র অসাধারণ ভূমিকা পালন করেছে। বিশেষ করে নারী মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষ সেবা প্রদান করে বেসরকারি এই প্রতিষ্ঠানটি। ১৯৭৭ সালে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের সমন্বিত সমাজস্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা সেবা সর্বোচ্চ জাতীয় পুরস্কার স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার লাভ করে।
এছাড়া ১৯৮৫ সালে ম্যাগসাসে পুরস্কার, ১৯৯২ সালে সুইডেন থেকে রাইট লাইভহুড পুরস্কার এবং ২০০২ সালে বার্কলি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইন্টারন্যাশনাল হেলথ হিরো পুরস্কার লাভ করে।
এনএস//
আরও পড়ুন