শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাত, উত্তপ্ত রাবি
প্রকাশিত : ১৪:৫০, ১০ মার্চ ২০২২ | আপডেট: ১৫:১৭, ১০ মার্চ ২০২২
শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি
হিমেলের রক্তের দাগ না শুকাইতেই রাবির আরেক শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে আহত করা হয়েছে। এ ঘটনায় ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাবির ক্যাম্পাস। অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাস ভবনের সামনে অবস্থান নেয় তারা। এসময় শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
এর আগে বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরীর বিনোদপুর এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাফফাত নাঈম নাফিকে ছুরিকাঘাতে আহত করে দুর্বৃত্তরা। পরে আহত শিক্ষার্থীকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেকে) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় আহত শিক্ষার্থীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
আহত শিক্ষার্থীর বন্ধু ইব্রাহীম হোসেন বলেন, হিমেল ভাইয়ের রক্তের দাগ না শুকাইতেই আমার বন্ধুকে ছুরিকাঘাতে আহত করা হয়েছে। এভাবে আর কত রক্ত দিতে হবে আমাদের।
আহত শিক্ষার্থীর সুচিকিৎসা ও যাবতীয় খরচ বহনসহ দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনের একপর্যায়ে উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার উপস্থিত হয়ে শিক্ষার্থীদের আশ্বস্ত করেন। তিনি বলেন, “শিক্ষার্থীর উপরে যে অনাকাঙ্ক্ষিত আক্রমণ হয়েছে, তা খুবই দুঃখজনক। তার সুচিকিৎসার জন্য যাবতীয় কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে, সমস্ত ব্যয়ভার বিশ্ববিদ্যালয়ের।”
তিনি বলেন, “ইতোমধ্যে ছাত্রাবাসের মালিককে পুলিশী হেফাজতে নেয়া হয়েছে। অপরাধীদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে।’
দ্রুত সময়ের মধ্যে অপরাধীরা গ্রেপ্তার হবে, ভিসির এমন আশ্বাসে আন্দোলন স্থগিত করেন শিক্ষার্থীরা।
মতিহার থানার ওসি আনোয়ার হোসেন তুহিন জানান, নগরীর আমজাদের মোড় সংলগ্ন এনআর ছাত্রাবাসে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শরীফ হোসেন থাকতো। ওই মেসে মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়া বাধ্যতামূলক। আর কেউ যদি রুমে নামাজ পড়তে চায় তাহলে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হয়। ওই শিক্ষার্থীর পরীক্ষা চলমান থাকায় সে রুমে নামাজ পড়ত। এ নিয়ে ওই মেসে থাকা ছেলেদের সাথে শরীফের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বিষয়টি মেস মালিককে জানান শরীফ।
বুধবার রাতে অভিযোগের ভিত্তিতে মেসে একটি মিটিং বসেছিল। সেখানে শরীফের বন্ধু নাফিসহ কয়েকজন রাবি ছাত্র ছিল। মিটিংয়ের শেষ পর্যায়ে কিছু স্থানীয় ছেলে হঠাৎ করে মেসে ঢুকে সবাইকে মারধর শুরু করে। এ হামলার পর সবাই মেস থেকে পালিয়ে গেলে নাফিকে তাড়িয়ে মোড়ের উপর ধরে তার পায়ে ও হাতে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করা হয়।
ওসি বলেন, এ ঘটনায় রাতেই এনআর ছাত্রাবাসের মালিককে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতের শনাক্ত করে তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এএইচ/
আরও পড়ুন