রাবি ছাত্রকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় শিবিরের ২ ক্যাডার গ্রেপ্তার
প্রকাশিত : ১৫:২৪, ১২ মার্চ ২০২২ | আপডেট: ১৫:২৮, ১২ মার্চ ২০২২
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র নাফিউল হক নাফিকে ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত করার ঘটনায় ছাত্রশিবিরের দুই ক্যাডারকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
শনিবার দুপুরে র্যাব-৫’র সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে তাদের গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এর আগে শুক্রবার রাতে নগরের মতিহার থানার জাহাজঘাট এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে র্যাব।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন নগরের মতিহার থানার খোজাপুর এলাকার আব্দুল ওহাবের ছেলে সালাউদ্দিন বাপ্পি (২৭) ও একই এলাকার আজিমুদ্দিনের ছেলে নবাব শরীফ (২৭)। তারা দুজনই উগ্রবাদী রাজনীতিক দলের সঙ্গে জড়িত বলে জানিয়েছে র্যাব।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-৫’র অধিনায়ক লে: কর্ণেল রিয়াজ শাহরিয়ার বলেন, রাবি ছাত্র নাফিউল হক নাফিকে ছুরিকাঘাতে হত্যার উদ্দেশ্যে ছিল তাদের। এনআর ছাত্রাবাসে নামাজপড়ার ঘটনাকে কেন্দ্র তাকে এলোপাতাড়িভাবে মারপিটসহ ধারালো ছুরি দিয়ে তার হাতে ও পায়ের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর জখম করা হয়।
এ ঘটনার মূলহোতা রমজান ও মেস মালিক নাজমুলসহ সাতজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ৮-১০ জনকে আসামি করে নাফির ঘনিষ্ঠ বন্ধু শরীফুল ইসলাম মতিহার থানায় মামলা দায়ের করেন।
তিনি বলেন, শুক্রবার রাত ১টার দিকে নগরীর মতিহার থানাধান জাহাজঘাট মোড় এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার সালাউদ্দিন বাপ্পী মসজিদ মিশন একাডেমী স্কুল থেকে মানবিক বিভাগে ২০১০ সালে এসএসসি পাস করেন। বর্তমানে সে ভূগোল ও পরিবেশ বিদ্যা বিষয়ে রাজশাহী কলেজে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত। সে ২০১৪ সালে উগ্রবাদী ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে সে বিভিন্ন ধরণের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত বলে জানান র্যাব-৫ অধিনায়ক।
অপর আসামি নবাব শরীফ মির্জাপুর হাইস্কুল এন্ড কলেজ থেকে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। বর্তমানে সে কাপড়ের দোকানের কর্মচারী হিসেবে কাজ করে। তার এক ভাই আব্দুস সালাম (৪২) হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন এবং অপর ভাই জাহাঙ্গীর আলম (৩৫) ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত আসামি। সেও উগ্রবাদী রাজনীতির সাথে জড়িত।
অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান এই র্যাব কর্মকর্তা।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, মেসে নামাজ পড়া নিয়ে এনআর ছাত্রাবাসের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে রাবির শিক্ষার্থী শরীফের বিরোধ বাধে। ঘটনাটি সমাধান করতে বুধবার রাতে আলোচনায় বসেন মেসের মালিক, শরীফ, নাফিসহ পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী। আলোচনার শেষদিকে ওই কক্ষে কয়েকজন স্থানীয় তরুণ ঢুকে পড়ে। এক পর্যায়ে তারা শরীফ ও নাফিসহ ক্যাম্পাস থেকে যাওয়া ছাত্রদের মারধর শুরু করে।
এ সময় সবাই ওই কক্ষ থেকে পালিয়ে গেলেও ছাত্রবাসের সামনে নাফিকে ধরে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করা হয়।
প্রথমে নাফিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নেয়ার পর তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি অ্যাম্বুলেন্সে নাফিকে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এএইচ/
আরও পড়ুন