জাবি’র টারজান পয়েন্টে থাকছে না দোকানপাট
প্রকাশিত : ০৮:৫৮, ২৫ মে ২০২২
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের টারজান পয়েন্ট
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের দ্বিতীয় ধাপের আওতায় টারজান পয়েন্টে ১৩৭ কোটি টাকা ব্যয়ে দশতলা একটি প্রশাসনিক ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ফলে উক্ত স্থানের অস্থায়ী দোকানপাট সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ স্বাক্ষরিত এক পত্রে প্রশাসনিক ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করার জন্য নবনির্মিত ছাত্রী হলের দক্ষিণ দিক থেকে কেন্দ্রীয় মসজিদ উত্তর সীমানার মধ্যবর্তী স্থানের সকল অস্থায়ী দোকানসমূহ সাত দিনের মধ্যে সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ প্রদান করেন।
উক্ত টারজান পয়েন্টে ২০১০ সাল থেকে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন ফুচকা, চটপটি ও শরবতের দোকান। এর পাশাপাশি রয়েছে অল্প কিছু চায়ের টং ও ভাতের হোটেল।
ক্লাসের ফাঁকে কিংবা বিকেল-সন্ধ্যায় নানা ধরনের ফলের শরবতে তৃপ্তির চুমুক দিতে বা টক-ঝাল চটপটি ফুচকার স্বাদ নিতে টারজান পয়েন্টে ভিড় জমায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ঘুরতে আসা দর্শনার্থীরা।
দোকান সরিয়ে নেয়ার নোটিশ দেয়া হলেও টারজান পয়েন্টের দোকানিদের কাছে ভাড়া বাবদ কর্তৃপক্ষের পাওনা রয়েছে ১ লাখ ৬৮ হাজার ৫০০ টাকা। যেখানে দোকানদাররা মাসিক ভাড়া দেন ৩০০ টাকা করে। তবে করোনা পরিস্থিতির জন্যে তাদের ১৯ মাসের ভাড়া মওকুফ করে দেয়া হয়।
বকেয়া ভাড়া দেয়ার জন্য বারংবার নোটিশ দেয়া হলেও তাতে দোকানদাররা ভ্রুক্ষেপ করেন না বলে অভিযোগ স্টেট অফিসের। স্টেট অফিসের হিসেব অনুযায়ী প্রায় ৬ বছরের ভাড়া বকেয়া রয়েছে ভাতের হোটেল মালিক মো. দেলোয়ারের কাছে।
এ বিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘স্টেট অফিসের হিসেবে ভুল রয়েছে, ৪-৫ বছরের ভাড়া বাকি আছে, এর বেশি নয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘ভার্সিটির অনেক দোকানদার ৩০ বছরেও কোন ভাড়া দেয়নি সে হিসেবে আমারটা তো কমই।’
টারজান পয়েন্টের উক্ত দোকানসমূহ অন্য কোন স্থানে পুনঃস্থাপনে কর্তৃপক্ষের কোন পরিকল্পনা নেই বলেও জানা যায়।
দোকানিরা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যখন চায় আমাদের উঠিয়ে দিতে পারে। তবে তাদের কাছে মানবিক দৃষ্টি থেকে আমাদের দাবি, যেন একটি বিকল্প ব্যবস্থা করে দেয়া হয়। তা না হলে আমাদের জীবন ধারণ করা অনেক কষ্টকর হয়ে পড়বে।’
এএইচ
আরও পড়ুন