রাবি শিক্ষার্থী রিক্তা হত্যায় স্বামী গ্রেফতার
প্রকাশিত : ০৯:১১, ৩১ জুলাই ২০২২
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে রিক্তার জানাজা
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের রিক্তা আক্তার নামের এক শিক্ষার্থীর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘটনায় স্বামী ইসতিয়াক রাব্বিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৩০ জুলাই) বিকালে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে রিক্তার বাবা থানায় একটি হত্যা মামালা দায়ের করেন।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার আলী তুহিন বলেন, রিক্তার পোস্টমর্টেম সম্পন্ন হয়েছে। তার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় রিক্তার বাবা একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় রিক্তার স্বামী ইসতিয়াক রাব্বিকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
নিহত রিক্তা আক্তার আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। তার বাড়ি কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি উপজেলার জোতপাড়া গ্রামে। অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ ইসতিয়াক রাব্বি রাবির ফলিত গণিত বিভাগের ছাত্র। তার বাড়ি ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ডু উপজেলার পোড়াহাটি গ্রামে।
মৃতের সহপাঠীরা বলেন, রাব্বি এবং রিক্তার দীর্ঘদিনের প্রেম ছিল। পরে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। স্বামীর সঙ্গে ধরমপুরে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন রিক্তা। কিছু দিন ধরে ফেক আইডি ব্যবহার করে অন্য কারো সাথে কথা বলতো এ অভিযোগে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল।
শুক্রবার (২৯ জুলাই) আনুমানিক রাত ১২টার দিকে রিক্তাকে আশংকাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেলে (রামেক) নিয়ে আসেন তার স্বামী। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
শনিবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে রিক্তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজার আগে আইন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এক প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। সমাবেশে হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন তারা। এছাড়া অভিযুক্তকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কারের দাবিও জানান।
রিক্তার বাবা লিয়াকত আলী বলেন, “পরিবারের একমাত্র মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছিলো পড়াশুনা করতে। এর আগে কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেনি। তার এই মৃত্যু কোনভাবেই মেনে নিতে পারছিনা। মেয়েকে এই ছেলের সাথে বিয়ে দেওয়ার ইচ্ছে ছিলো না। কিন্তু সে অনেক কৌশল করে তাকে বিয়ে করে। সেই মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যার সুষ্ঠু বিচার চাই। খুনিদের সাথে কোনভাবেই আপোষ করবো না।”
এএইচ
আরও পড়ুন