জাবির ‘এ’ ইউনিটের ফলেও শিফটভিত্তিক ব্যাপক বৈষম্য
প্রকাশিত : ১২:৪৮, ৪ আগস্ট ২০২২
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ‘এ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এই ইউনিটে পাসের হার ৫০ শতাংশ। তবে প্রকাশিত ফলাফলে শিফটভিত্তিক বৈষম্য পরিলক্ষিত হয়েছে৷
বুধবার (৩ আগস্ট) রাত ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে 'এ' ইউনিটের ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
গাণিতিক ও পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ডিন অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার কর্তৃক প্রদত্ত তথ্যমতে, ‘এ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ৪৬৬টি আসনের বিপরীতে ৭৬ হাজার ৩০৯ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী আবেদন করলেও অংশগ্রহণ করেন ৬১ হাজার ৫৩৪ জন। এতে উত্তীর্ণ হয়েছেন ৩৩ হাজার ৯২০ জন। যার মাঝে ছেলে ২২ হাজার ৯২৭ এবং মেয়ে ১০ হাজার ৯৯৩ জন।
পূর্নমান ১০০ এর মধ্যে সর্বোচ্চ ৮৭.৪০ পেয়ে ছেলেদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন মো. মাহিদুল ইসলাম আকিব এবং ৮৪.৪০ পেয়ে মেয়েদের মধ্যে প্রথম হয়েছেন সাদিয়া আক্তার। শিফট ভিত্তিক পাসের হার ১২.৬৯ থেকে ১৭.৪৪ শতাংশ।
ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ‘বি’ ইউনিটের মতো ‘এ’ ইউনিটেও মেধা তালিকায় স্থান করে নেয়ার ক্ষেত্রে শিফটভিত্তিক ফলাফলে ব্যাপক বৈষম্য পরিলক্ষিত হয়েছে৷
‘এ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় ২য় শিফট থেকে চান্স পেয়েছেন ১৪৫ জন, যার মধ্যে ৭৬ জন মেয়ে, ৬৯ জন ছেলে। অপরদিকে ষষ্ঠ শিফট থেকে চান্স পেয়েছেন মাত্র ৭ জন। ষষ্ঠ শিফটে ছয়জন ছেলে এবং মেয়েদের মধ্য থেকে মাত্র একজন মেধাতালিকায় স্থান করে নিতে পেরেছেন।
এছাড়া প্রথম শিফট থেকে চান্স পেয়েছেন ৯২ জন, তৃতীয় শিফট থেকে ৩৮ জন, চতুর্থ শিফটের ৩০ জন, পঞ্চম শিফট থেকে ১১৮ জন, সপ্তম তথা ২য় দিনের প্রথম শিফট থেকে ৩৬ জন ভর্তিচ্ছু মেধাতালিকায় স্থান পেয়েছেন।
শিফট ভিন্ন হলেও প্রশ্নপত্রের মান প্রায় একই রকম। সে হিসেবে সাতটি শিফটের প্রতি শিফট থেকে প্রায় ১৪.২৯% এর কাছাকাছি শিক্ষার্থী চান্স পাওয়ার কথা। কিন্তু এবারের ভর্তি পরীক্ষায় ১ম শিফট থেকে চান্স পেয়েছে ১৯.৭৪%, ৩য় শিফট থেকে চান্স পেয়েছে ৮.১৫%, ৪র্থ শিফট থেকে চান্স পেয়েছে ৬.৪৪%, পঞ্চম শিফট থেকে চান্স পেয়েছে ২৫.৩২%, সপ্তম শিফট থেকে চান্স পেয়েছে ৭.৭৩%।
সবচেয়ে বৈষম্যের দেখা মিলেছে দ্বিতীয় ও ষষ্ঠ শিফটে। ২য় শিফট থেকে চান্স পেয়েছে ৩১.১২% আর মাতত্র ১.৫% শিক্ষার্থী ষষ্ঠ শিফট থেকে চান্স পেয়েছে।
শিফটভিত্তিক ফলাফলে বৈষম্যের বিষয়ে গাণিতিক ও পদার্থবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নূরুল আলমের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এএইচ
আরও পড়ুন