নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় শোক দিবস পালন
প্রকাশিত : ১৪:১৬, ১৫ আগস্ট ২০২২
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে নানাবিধ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করা হয়েছে।
সোমবার (১৫ আগস্ট) সকালে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে প্রশাসনিক ভবনের সামনে জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে কালো পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ করা হয়।
এরপরে একটি শোক পদযাত্রা প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য’-এ গিয়ে শেষ হয়। বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করে সেখানে ভাস্কর্যের বেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর। উপস্থিত ছিলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. নজরুল ইসলাম, কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. আহমেদুল বারী, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড. মোঃ হুমায়ুন কবীর, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) আবদুল হালিম, প্রক্টর ড. উজ্জ্বল কুমার প্রধান, পরিকল্পনা, উন্নয়ন ও ওয়ার্কস দপ্তরের পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ হাফিজুর রহমান, শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. শেখ সুজন আলী, সাধারণ সম্পাদক ড. মো. তুহিনুর রহমান, কর্মকর্তা পরিষদের সভাপতি প্রকৌশলী জোবায়ের হোসেনসহ নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাবু ও সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান রাকিবের নেতৃত্বে শিক্ষার্থীবৃন্দ।
পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের কনফারেন্স কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য প্রফেসর ড. সৌমিত্র শেখর বলেন, “বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের রাজনৈতিক অভিঘাত বাঙালিদের জন্য ছিল খুবই বেদনাদায়ক। ১৫ আগস্টের পর রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে রাতারাতি বাইরে আসে ষড়যন্ত্রকারীরা। সত্তরের দশকের ৫ বছর আর পুরো আশির দশক চলে মিথ্যার বেসাতি।”
এছাড়া দিবসটিকে কেন্দ্র করে বাদ যোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে কোরআন খতম, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মন্দিরে অনুষ্ঠিত হবে বিশেষ প্রার্থনা।
শোক দিবস উপলক্ষ্যে শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রবন্ধ ও শিশু-কিশোরদের নিয়ে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়ছে। অনুষ্ঠান শেষে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হবে।
আরএমএ
আরও পড়ুন