জাবি প্রেসক্লাবের উদ্যোগে ‘জার্নি টু জার্নালিজম’ শীর্ষক কর্মশালা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) কর্মরত ক্যাম্পাস সাংবাদিকদের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে জাবি প্রেসক্লাবের উদ্যোগে ‘জার্নি টু জার্নালিজম’ শীর্ষক ধারাবাহিক কর্মশালার প্রথম পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির-৪ নং কক্ষে জাবি প্রেসক্লাবের কার্যালয়ে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। জাবি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নুর হাছান নাঈমের সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকার বার্তা সম্পাদক নিয়ন মতিয়ুল।

বগুড়ার উপজেলা পর্যায় থেকে সাংবাদিকতা শুরু করা নিয়ন মতিয়ুলের আড্ডায় উঠে আসে সাংবাদিকতার নানা চ্যালেঞ্জ আর দুঃসাহসিকতার কথা।

তিনি বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের সবচেয়ে সচেতন ব্যক্তি। তাদের সচেতনতা একটি জাতির জন্য এসেট (সম্পদ)। দেশের সার্বিক উন্নয়ন বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ উপস্থাপনের মাধ্যমে সম্ভব। কিন্তু দেশের রাজনীতিতে স্টুপিডিটি (অজ্ঞতা) বাড়লে তখন জার্নালিজম কাজ করবে না। বর্তমানে নিউজ আবর্জনার মতো হয়ে গেছে। ডেইলি হাজার হাজার নিউজ করা হয়। কিন্তু বাস্তবে সেসব নিউজের কোন প্রতিফলন বাস্তবে দেখা যায় না।

তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমান পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় সমস্যা জলবায়ু পরিবর্তন। এটা নিয়ে সাংবাদিকদের অনেক কাজ করতে হবে। সময় থাকতে যদি আমরা পরিবেশের প্রতি যত্নশীল না হই তাহলে মানবজাতি হুমকির মুখে পড়বে।’

এসময় তিনি জাবি প্রেসক্লাবের সদস্যদের সঙ্গে গণমাধ্যমের সংকট, কেমন হবে আগামীর গণমাধ্যম, নিউজের কার্যকারিতা, দিনে দিনে এ পেশার প্রতি মানুষের অনীহা বাড়ছে কেন? সমাজ পরিবর্তনে সাংবাদিকদের ভূমিকা সহ ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আড়াই ঘণ্টাব্যাপী বিশদ আলোচনা করেন তিনি।

আয়োজন সম্পর্কে জাবি প্রেসক্লাবের সভাপতি ইমন মাহমুদ বলেন, ক্যাম্পাসে কর্মরত সাংবাদিকদের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ উপস্থাপন ও দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা এ কার্যক্রম গ্রহন করেছি। এটিকে দেশবরেণ্য ও অভিজ্ঞ সাংবাদিকদের থেকে গল্পে গল্পে সাংবাদিকতার নানা দিক ও কৌশল শেখার বড় সু্যোগ হিসেবে দেখছি। আমরা এ কার্যক্রমের ধারা অব্যাহত রাখব।

এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাবি প্রেসক্লাদের সহ-সভাপতি শিহাব উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক হাসিব সোহেল, কোষাধ্যক্ষ মোসাদ্দেকুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক নোমান বিন হারুন, কার্যকরী সদস্য ওয়াজহাতুল ইসলাম সহ জাবি প্রেসক্লাবের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।

পরবর্তীতে হাতে-কলমে রিপোর্ট লেখা, ফিচার-কলাম লেখার রীতি, ল এন্ড এথিক্স, জীবনবৃত্তান্ত লিখনসহ সাংবাদিকতা সম্পর্কিত নানা বিষয়ে আগামী ২ মাসের মধ্যে কমপক্ষে আরো ছয়টি সেশন অনুষ্ঠিত হবে বলে জানান প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষ।

এসি