শাবিপ্রবি শিক্ষার্থীকে মারধর, রেস্তোরাঁয় তালা
প্রকাশিত : ০৯:৫১, ৩ নভেম্বর ২০২২
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে সবুজ বাংলা রেস্তোরাঁয় খাবার খেতে গিয়ে এক শিক্ষার্থী মারধরের শিকার হয়েছেন। এ ঘটনার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উপস্থিতিতে রেঁস্তারাটিতে তালা মারে পুলিশ।
মারধরের শিকার শৈশব আহমেদ সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি সৈয়দ মুজতবা আলী হলের আবাসিক শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে খাবার খেতে রেঁস্তারায় যায় ওই শিক্ষার্থী। এসময় জহির নামের এক ওয়েটারের সঙ্গে ওই শিক্ষার্থীর বাকবিতণ্ডা হয়। এসময় ওয়েটার কর্তৃক মারধরের শিকার হন শিক্ষার্থী শৈশব আহমেদ।
পরে খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিক জড় হরণ উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তারা রেস্তোরাঁ বন্ধ করার দাবি জানান। একইসঙ্গে অভিযুক্ত ওয়েটারকে শাস্তির আওতায় আনার দাবি তোলেন শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শৈশব আহমেদ বলেন, ‘সন্ধ্যার দিকে আমি সবুজ বাংলায় ভাত খেতে যাই। চেয়ারে বসার পর ওয়েটারকে অনেকবার ডাকলেও কথা শুনেনি। এনিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এসময় আমার সাথে দুর্ব্যবহার ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করে ওয়েটার।’
ঘটনা জানাজানির পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে বিষয়টি মিমাংসা করার চেষ্টা করেন।
কিন্তু বিষয়টি মিমাংসা না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উপস্থিতিতে রেঁস্তারাটিতে তালা মারে পুলিশ। একই সঙ্গে এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রেস্টুরেন্টের ছয় কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য জালালাবাদ থানায় নিয়ে যায়।
এবিষয়ে জানতে হোটেল মালিক সদস্য আবুল হোসেনকে কল দিলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হুদা খান বলেন, ‘বিষয়টি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা ছয়জন কর্মচারীকে থানায় নিয়ে এসেছি। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ঘটনাটি তদন্ত করা হবে। আপাতত কারো বিরুদ্ধে মামলা করা হয়নি। আমরা হোটেল সীলগালা করতে পারিনা। তবে বিষয়টি মীমাংসা না করা পর্যন্ত হোটেল তালা মারা থাকবে। যার চাবি আমাদের হেফাজতে আছে।’
এএইচ
আরও পড়ুন