ঢাকা, শুক্রবার   ১১ অক্টোবর ২০২৪

কুইন্স কমনওয়েলথ ট্রাস্টের সদস্য হলেন বেরোবি শিক্ষার্থী

বেরোবি প্রতিনিধি 

প্রকাশিত : ১৩:৩২, ১৬ জানুয়ারি ২০২৩

সমাজ উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখায় ‘কুইনস কমনওয়েলথ ট্রাস্ট (কিউটিসি)’ এর সদস্য পদ লাভ করেছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নুর হাশেম বাধন। 

সম্প্রতি এক ই-মেইলের মাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

প্রতিবছর কমনওয়েলথ ভুক্ত ৫৬টি দেশ থেকে একজন করে সদস্য মনোনয়ন দেয় কুইন্স কমনওয়েলথ ট্রাস্ট। ২০২৩-২৪ সেশনে বাংলাদেশ থেকে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নুর হাশেম বাধন এ ট্রাস্টের মনোনয়ন পেয়েছেন।

ইংল্যান্ডের রাণীর প্রতি শ্রদ্ধা রেখে কমনওয়েলথভুক্ত দেশের তরুণদের সমাজ উন্নয়নমূলক স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৮ সালের এপ্রিলে কুইন্স কমনওয়েলথ ট্রাস্ট (কিউসিটি) গঠন করা হয়। এই ট্রাস্ট তরুণ নেতাদের এবং তাদের দ্বারা পরিচালিত সংস্থার সব উদ্যোগের জন্য দায়িত্ব কেন্দ্রীভূত করে তহবিল গঠন করে। যা দ্বারা তাদের সদস্যদের কৃষি ও খাদ্য, শিক্ষা, কর্মসংস্থান, স্বাস্থ্য, এবং অন্তর্ভুক্তি,  পরিবেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে সহায়তা দিয়ে থাকে।

আর আগে নুর হাশেম বাধন স্বেচ্ছাসেবী কাজে অনবদ্য ভূমিকা রাখায় অর্জন করেছেন আরবি ফাউন্ডেশনের হিরো অ্যাওয়ার্ড। এছাড়াও সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল লিডার্স সামিট অ্যাওয়ার্ড-২৩’র জন্যেও মনোনিত হয়েছেন।

বেরোবি ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, এটি আমাদের বিভাগ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গর্বের বিষয়। ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নুর হাশেম বাধন অল্প বয়সেই সম্মানজনক ‘কুইনস কমনওয়েলথ ট্রাস্ট’র সদস্য পদ লাভ করেছে। প্রত্যেক শিক্ষার্থীরই উচিত একাডেমিক কার্যক্রমের বাইরেও সহ-শিক্ষা কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত থাকা। এতে শিক্ষার্থীদের মাঝে বাহ্যিক বিষয়েও জ্ঞানার্জনের পাশাপাশি নতুন যোগ্যতাও সৃষ্টি হয়।

প্রসঙ্গত, নুর হাশেম বাধন ২০১৯ সালে গঠন করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘এরাইজ হেল্প ফর চাইল্ড ফাউন্ডেশ’। এ সংগঠনটি চার বছর ধরে দেশের বিভিন্ন জেলায় টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার চারটি বিষয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। 

সংগঠনটির লক্ষ্য ২০২৫ সালের মধ্যে দেশের আনাচে-কানাচে টেকসই উন্নয়ন, নারীর ক্ষমতায়ন এবং স্বাস্থ্য সচেতনতা সৃষ্টি করা। এই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে উত্তরাঞ্চলে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর নারীদের বিশেষ করে সাঁওতাল নারীদের নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং সনাতন কর্মসংস্থানের মধ্যে আধুনিকতার মিশ্রণ ঘটিয়ে টেকসই পরিবর্তন আনার কাজ করা হচ্ছে।

এছাড়া হ্যান্ড হাইজিনকে (হাতের স্বাস্থ্যবিধি) প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছে দিয়ে মানুষের সাধারণ অভ্যাসে পরিণত করতে কয়েক বছর ধরে কাজ করছে। দেশে প্রথমবারের মতো হাইজিন অলিম্পিয়াড পরিচালনা করছে এরাইজ হেল্প ফর চাইল্ড ফাউন্ডেশন। 

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি