মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পেলেন প্রলয় গ্যাংয়ের সদস্য তবারক
প্রকাশিত : ১৫:৫৭, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪ | আপডেট: ১৬:১৫, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) দুই বান্ধবীসহ ঘুরতে এসে আটক হয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আলোচিত অপরাধচক্র ‘প্রলয় গ্যাং’র অন্যতম সদস্য তবারক মিয়া। পরে মুচলেকা দিয়ে তিনি ছাড়া পেয়েছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার ওসি আবু বকর।
তিনি বলেন, আশুলিয়া থানায় তার নামে কোনো মামলা নাই। শাহবাগ থানার মামলার বাদী আরমান তার অভিযোগ তুলে নিয়েছেন বিধায় তিনিও তাকে ছেড়ে দিতে অনুরোধ করেছেন। আর শাহবাগের মামলার তদন্ত কর্মকর্তাও তাকে ছেড়ে দিতে বলেছেন। তাই আশুলিয়া থানা পুলিশ তাকে ছেড়ে দিয়েছে।
তার কাছে যে গাঁজা পাওয়া গেছে, তা পরিমাণে কম। তাই প্রাথমিকভাবে সতর্ক করে এবং মুচলেকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান ওসি আবু বকর।
এর আগে মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় এক চায়ের দোকান থেকে তাকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে জাবি শিক্ষার্থীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বটতলায় মাঝামাঝি স্থানে একটি চায়ের স্টলে বসে চা পান করছিলেন তবারক। এসময় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সাথে যুক্ত শিক্ষার্থীরা এসে তাকে পরিচয় জিজ্ঞাসা করেন৷ জিজ্ঞাসাবাদে পরিচয় নিশ্চিত হলে তিনি জাবির নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ৫১ ব্যাচের জিতাদিত্য বড়ুয়ার আমন্ত্রণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই বান্ধবীসহ ঘুরতে এসেছেন বলে জানান।
পরে শিক্ষার্থীরা পুলিশে খবর দিলে রাত ১২টার কিছু আগে এসে তাকে আশুলিয়া থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
তবে শিক্ষার্থীদের কাছে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তবারক জানায়, তার নামে যে মামলা ছিল সেখান থেকে অক্টোবর মাসে আদালত থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন তিনি। বর্তমানে তার নামে কোন অভিযোগ নাই। এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনের সমন্বয়ক আরমানের স্বাক্ষর করা হলফনামাও দেখান তিনি।
তার সাথে ঘুরতে আসা দুই নারী জানান, মামলায় দীর্ঘদিন কারাগারে থাকার কারণে তবারক মানসিকভাবে খুব ভেঙে পড়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও তাকেও ২ বছর বহিষ্কার করা হয়েছে। তাই আমরা তাকে নিয়ে ঘুরতে এসেছি। এখানে আমাদের জাহাঙ্গীরনগরের বন্ধু আছে। তাদের সাথে দেখা করতে এসেছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তা জেফরুল হাসান চৌধুরী বলেন, ছাত্ররা আমাদের খবর দিয়েছে যে ঢাবির প্রলয় গ্যাংয়ের এক সদস্যকে এখান থেকে ধরা হয়েছে। পরে ঢাবির প্রক্টরের কথা বলে মেয়েদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে তবারককে পুলিশে দেয়া হয়েছে।
এএইচ
আরও পড়ুন