শেষ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস হয়নি
প্রকাশিত : ১৮:১৫, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ২০:৫১, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
প্রশ্ন ফাঁস বির্তকে ছিলো চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষা। প্রায় প্রতিটি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠে। তবে শেষ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। আজ শনিবার সকাল ১০টায় শুরু হওয়া ভূগোল ও পরিবেশ বিষয়ের পরীক্ষার মাধ্যমে শেষ হয় এবারের এসএসসি পরীক্ষা।
এর আগে, এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় মোট ১২টি বিষয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। তবে কম পরীক্ষার্থী ও খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়— এমন বিষয়গুলোর মতো শেষদিনের ভূগোল ও পরিবেশ বিষয়ের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়নি।
এ বিষয়ে ঢাকা বোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শাহেদুল খবির বলেন, “যে পরীক্ষাগুলোর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কম এবং যেগুলো খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়, সেসব বিষয়ের প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার অভিযোগ তেমন পাওয়া যায়নি। এই বিষয়ে (ভূগোল ও পরিবেশ) পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগও পাইনি।’
যদিও আগের পরীক্ষাগুলোর মতো শেষ দিনের ভূগোল পরীক্ষাতেও ফাঁস হওয়া প্রশ্নের জন্য সামাজিক মাধ্যমগুলোতে তৎপরতা দেখা যায়। তবে তবে শেষ পর্যন্ত এই পরীক্ষার প্রশ্ন আর ফাঁস হয়নি।
উল্লেখ্য, গত ১ ফেব্রুয়ারি বাংলা প্রথম পত্র বিষয় দিয়ে শুরু হয় এসএসসি পরীক্ষা। ওই বিষয়ের বহুনির্বাচনি অভীক্ষার ‘খ’ সেট প্রশ্নের সঙ্গে পরীক্ষা শুরুর প্রায় এক ঘণ্টা আগে ফেসবুকে ফাঁস হওয়া প্রশ্নের হুবহু মিল পাওয়া যায়। ৩ ফেব্রুয়ারি বাংলা দ্বিতীয় পত্রের বহুনির্বচনি অভীক্ষার ‘খ’ সেটের উত্তরসহ প্রশ্নপত্র পাওয়া যায় ফেসবুকে। এই প্রশ্নের সঙ্গেও মূল প্রশ্নের হুবহু মিল ছিল। পরে ৫ ও ৭ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত ইংরেজি প্রথম ও দ্বিতীয় পত্রের পরীক্ষাতেও একই ঘটনা ঘটে।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের ধারাবাহিকতায় পরে একে একে ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা, গণিত, আইসিটি, পদার্থবিজ্ঞান, ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং, রসায়ন, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়, জীববিজ্ঞান এবং উচ্চতর গণিতের প্রশ্নপত্রও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে পরীক্ষার এক থেকে দেড় ঘণ্টা আগে।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নিয়ে একাধিক বৈঠক করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্রশ্নপত্র ফাঁসের ছয়টি কারণ শনাক্ত করা হয়। পরে মন্ত্রণালয়ের উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে প্রশ্নব্যাংক তৈরি ও পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তনে ঐক্যমত্যের কথাও জানানো হয়। সর্বশেষ প্রশ্নপত্র ফাঁস ঠেকাতে আগামী বছরের পরীক্ষায় ব্যাপক পরিবর্তন আনার কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী।
প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় দেশের বিভিন্ন স্থানে ৫২ মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলা ও বিভিন্ন অভিযানে মোট ১৫৩ জনকে গ্রেফতার কর হয়।
টিকে
আরও পড়ুন