ঢাবির ১২ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
প্রকাশিত : ১১:৪৯, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম (এসএম) হলের ছাত্র এহসান রফিককে মারধর ও নির্যাতন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বান্ধবী নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের কারণে ১২ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এদের মধ্যে সাত জন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। গতকাল মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান জানান, শৃঙ্খলা কমিটির দেওয়া সুপারিশগুলো গ্রহণ করা হয়েছে। একটি হচ্ছে এক শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায়। অন্যটি সহপাঠীকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে অশ্লীল মন্তব্য করা।
সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সাত ছাত্রলীগ নেতার একজন আজীবন এবং ছয়জন বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার হলেন। এছাড়া অপর একটি ঘটনায় পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের পাঁচ শিক্ষার্থীকে দুই বছরের জন্য বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এই পাঁচ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা বান্ধবীর বিরুদ্ধে আপত্তিকর মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়েছিলেন।
সাতজনের মধ্যে ঘটনার মূল হোতা শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক ওমর ফারুককে (মার্কেটিং বিভাগ, দ্বিতীয় বর্ষ) স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া দুই বছরের জন্য বহিষ্কার হয়েছেন শাখা ছাত্রলীগের সদস্য সামিউল ইসলাম সামি (সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, দ্বিতীয় বর্ষ) ও সদস্য আহসান উল্লাহ (দর্শন বিভাগ, দ্বিতীয় বর্ষ), সহ-সম্পাদক রুহুল আমিন বেপারি (গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, দ্বিতীয় বর্ষ), উপ-সম্পাদক মেহেদী হাসান হিমেল (উর্দু বিভাগ, দ্বিতীয় বর্ষ) এবং সহ-সম্পাদক ফারদিন আহমেদ মুগ্ধ (লোক প্রশাসন বিভাগ, দ্বিতীয় বর্ষ)। তা ছাড়া হামলায় প্ররোচনার দায়ে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের চতুর্থ বর্ষের মো. আরিফুল ইসলামকে এক বছর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়।
তাঁদের সবাইকে স্থায়ীভাবে হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাঁরা সবাই হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তাহসান আহমেদ রাসেলের অনুসারী ও হল কমিটিতে পদধারী।
এদিকে সহপাঠীকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আপত্তিকর মন্তব্য করার দায়ে বহিষ্কৃতরা হলেন আশিকুর রহমান, হযরত আলী, মোস্তাক আল মামুন পিয়াল, মো. জহুরুল ইসলাম এবং রাশেদ আহমেদ। এরা সবাই দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
উল্লেখ্য, গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ক্যালকুলেটর ধার দেওয়াকে কেন্দ্র করে এহসান রফিককে মারধর করে একই হলের শিক্ষার্থীরা। এসময় তার চোখের কর্ণিয়া মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মারধরের পর চিকিৎসকের পরামর্শে ভুক্তভোগীকে হাসপাতালে ভর্তি না করে উল্টো হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির কক্ষে আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ করে এহসান। এসময় তাকে কোনো খাবারও দেয়া হয়নি। ঘটনা বাইরে প্রকাশ না করতে বিভিন্ন ধরনের হুমকিও দেয়া হয়।
একে// এআর
আরও পড়ুন