ঢাকা, শুক্রবার   ০৮ নভেম্বর ২০২৪

বৃত্তি নিয়ে আয়ারল্যান্ডে পড়ালেখার সুযোগ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:০৯, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮

উচ্চশিক্ষার জন্য বিশ্বজুড়ে চাহিদা রয়েছে আয়ারল্যান্ডের। আন্তর্জাতিক মানসম্মত শিক্ষা এবং ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে আয়ারল্যান্ডে তুলনামূলক খরচ কম হওয়ায় বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থীদের পছন্দের শীর্ষ তালিকায় রয়েছে আয়ারল্যান্ডের অবস্থান।

যেসব ডিগ্রি অর্জন করা যেতে পারে

ক. ব্যাচেলর ডিগ্রি খ. হায়ার ডিগ্রি গ. মাস্টার ডিগ্রি এবং

ঘ. ডক্টরাল বা পিএইচডি ডিগ্রি

সেমিস্টারসমূহ

১. ফল সেমিস্টার : আগস্ট থেকে ডিসেম্বর

২. স্প্রিং সেমিস্টার :জানুয়ারি থেকে মে।

কোর্সের মেয়াদ

ব্যাচেলর ডিগ্রি তিন থেকে চার বছরের হয়ে থাকে। তবে ভেটেরিনারি মেডিসিন, আর্কিটেকচার, ডেন্টিস্ট এবং মেডিসিনের ক্ষেত্রে ছয় বছর সময় লাগে। মাস্টার ডিগ্রি এক থেকে তিন এবং ডক্টরাল কিংবা পিএইচডি ডিগ্রি তিন থেকে পাঁচ বছর মেয়াদি।

টিউশন ফি

আয়ারল্যান্ডে ব্যাচেলর ডিগ্রির ক্ষেত্রে বছরে ১০ হাজার ৫০০ থেকে ১৫ হাজার ১৫০ ইউরো এবং মাস্টার ডিগ্রির ক্ষেত্রে সাত হাজার ৪০০ থেকে ১৫ হাজার ৭২০ ইউরো পর্যন্ত টিউশন ফি লাগে।

ভর্তির যোগ্যতা

ক. ব্যাচেলর প্রোগ্রাম : ১২ বছরের শিক্ষাজীবন অর্থাৎ এইচএসসি পাস হতে হবে। IELTS-এ ৫.৫ থেকে ৬.০ পয়েন্ট পেতে হবে অথবা TOEFL -এর CBT-তে ২১৩ বা IBTতে ৭৯ থেকে ৮০ পয়েন্ট হতে হবে।

খ. মাস্টার্স প্রোগ্রাম : ১৬ বছরের শিক্ষাজীবন সম্পন্ন করতে হবে। IELTS-এ ৬.০ থেকে ৬.৫ পয়েন্ট পেতে হবে অথবা TOEFL-এর CBT-তে ২১৩ থেকে ২৩৭ বা IBT-তে ৭৯ থেকে ৯৩ পয়েন্ট হতে হবে।

ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ইচ্ছুক, সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদনপত্র পেতে চাইলে তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করা যাবে।

সংশ্নিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের আবেদনপত্র সঠিকভাবে পূরণ করতে হবে। আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে শিক্ষাগত যোগ্যতার কাগজপত্রসহ নম্বরপত্র, আবেদনপত্রের ফি পরিশোধের রসিদ, পাসপোর্টের অনুলিপি, স্পন্সরের কাছ থেকে পাওয়া আর্থিক দায়দায়িত্বের চিঠি এবং পাসপোর্ট আকারের ছবি।

উল্লেখ্য, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র অবশ্যই ইংরেজিতে হতে হবে। আবেদন করার পর ভিসা পেতে বছর খানেক সময় লাগে। তবে অনেক ক্ষেত্রে ছয় থেকে আট মাসের মধ্যে সংশ্নিষ্ট প্রতিষ্ঠান তাদের মতামত জানিয়ে দেয়।

ক্রেডিট ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে

ক্রেডিট ট্রান্সফার শিক্ষার্থীরা আন্ডার-গ্র্যাজুয়েট কিংবা পোস্ট-গ্র্যাজুয়েটের ক্ষেত্রে ক্রেডিট ট্রান্সফার করতে পারবেন। তবে কোর্স ৫০ শতাংশের বেশি সম্পন্ন হলে ক্রেডিট ট্রান্সফার করা যাবে না। একাডেমিক ট্রান্সক্রিপটের অফিসিয়াল কপি জমা দিতে হবে। এ ক্ষেত্রে যে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোর্স সম্পন্ন করা হয়েছে, সেখানকার কাগজপত্র দিতে হয়। আয়ারল্যান্ডের বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে ন্যূনতম  বি গ্রেড পর্যন্ত নেওয়া হয়।

 নিন্মে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব ঠিকানা  দেওয়া হল :

১. ডাবলিন সিটি ইউনিভার্সিটি (www.dcu.ie )

২. ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব অ্যায়ারল্যান্ড (www.nuigalway.ie)

৩. ট্রিনিটি কলেজ, ডাবলিন (www.tcd.ie)

৪. ইউনিভার্সিটি কলেজ, ডাবলিন (www.ucd.ie)

৫. রকওয়েল কলেজ (www.rockwellcollege.ie)

৬. গ্রিফিথ ইউনিভার্সিটি (www.gcd.ie)

৭. অ্যাথোলেন ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (www.ait.ie)।

কাজের সুযোগ

 নন ইউরোপীয় ইউনিয়ন দেশগুলোর শিক্ষার্থীদের জন্য আয়ারল্যান্ডে কাজের সুযোগ রয়েছে। শিক্ষার্থীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা থাকাকালীন সময়ে সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা এবং বন্ধের সময় সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা কাজ করতে পারে শিক্ষার্থীরা।

এই সংক্রান্ত আরও তথ্য পেতে এই ওয়েবসাইটে- www.educationireland.ie, www.studyinireland.ie দেখতে পারেন।

কেআই/ এআর


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি