ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৫ নভেম্বর ২০২৪

স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আসছে ঢাবির সব শিক্ষার্থী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৮:৪৫, ৩ জুন ২০২০

শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার ডিনস কমিটির এক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ অফিস।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের সেমিনার কক্ষে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে মঙ্গলবার ডিনস কমিটির এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব অনুসরণ করে এই সভার আয়োজন করা হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সভায় শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যবিমা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং শিক্ষা কারিকুলাম উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীকে স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এসডিজি অর্জন ও বিশ্ববিদ্যালয় র‌্যাঙ্কিংয়ের উন্নয়নে এ কর্মসূচি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে সভায় আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়। 

এছাড়া, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সচেতন, দায়িত্ববোধ সম্পন্ন ভালো গ্র্যাজুয়েট ও সুনাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে এই স্বাস্থ্যবিমা সহায়তা করবে বলে সভায় অংশগ্রহণকারী সবাই একমত হন।

ঢাবি শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নীতিমালা প্রণয়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষকে সভাপতি করে ছয় সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যরা হলেন- বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তোফায়েল আহমদ চৌধুরী, বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মাদ আব্দুল মঈন, চিকিৎসা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. শাহরিয়ার নবী, স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. সৈয়দ আব্দুল হামিদ এবং ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. হাসিনা শেখ।

সভায় টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) ১৭টি গোল ও ১৬৯টি টার্গেটের কোন কোনটি কোন বিভাগ অথবা ইনস্টিটিউট কীভাবে অর্জন করবে তার একটি ডাটাবেজ তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়া হয় সভায়। এই ডাটাবেজ প্রণয়নে অনুষদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ডিন এবং ইন্সটিটিউটের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট পরিচালক সমন্বয় করবেন। ৩০ জুনের মধ্যে রেজিস্ট্রারের দপ্তরে এই ডাটাবেজ জমা দেয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

এর আগে গত বছরের ২৬ নভেম্বর ডিনস কমিটির সভায় এসডিজিকে বিবেচনায় নিয়ে কারিকুলাম উন্নয়নের অনুরোধ করা হয়েছিল। এখনো যারা সে নিরিখে কারিকুলাম উন্নয়ন করেননি তাদেরকে কারিকুলাম উন্নয়নের জন্য পুনরায় অনুরোধ করা হয়।

করোনাভাইরাসে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষা কার্যক্রম সচল রাখার জন্য নানাবিধ বিষয়ে আলোচনা শেষে বাস্তবতার নিরিখে অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সভায় সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানানো হয়। এজন্য প্রাতিষ্ঠানিক অবকাঠামো ও সুযোগ সুবিধা তৈরির লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠান (বিভাগ/ইনস্টিটিউট) এবং শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের কী কী চাহিদা বা ঘাটতি রয়েছে তা সুনির্দিষ্টভাবে নিরূপণ করে সংশ্লিষ্ট ডিন অথবা পরিচালকের মাধ্যমে রেজিস্ট্রারের কাছে প্রেরণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়। এই চাহিদা নির্ধারণ কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট ডিন অথবা পরিচালক সমন্বয় করবেন বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

এছাড়া সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার গুণগত মান ও শিক্ষার সামগ্রিক পরিবেশ উন্নয়ন এবং অধিকতর দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির লক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামর্থ্য, বিভাগ বা ইনস্টিটিউটের সক্ষমতা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চাহিদা বিবেচনা করে শিক্ষার্থী ভর্তির আসন সংখ্যা নির্ধারণ করার আহ্বান জানানো হয়। এ বিষয়ে অনুষদের সুপারিশসহ যাবতীয় তথ্যাবলি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রেরণের জন্য ডিন এবং পরিচালকদের অনুরোধ জানানো হয়।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি