ঢাকা, সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

নোবিপ্রবি`র উপাচার্যকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের প্রতিবাদ

নোবিপ্রবি সংবাদদাতা

প্রকাশিত : ১৭:৪১, ১৪ জুলাই ২০২০

Ekushey Television Ltd.

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. দিদার-উল-আলমকে নিয়ে সাবেক উপাচার্য ড. এম অহিদুজ্জামানের আপত্তিকর মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক- কর্মকর্তাদের সংগঠন সমূহ।

গত ৯ জুলাই এস.এ টেলিভিশনে ‘টকশো’এবং ৮ মে ‘নোবিপ্রবি উপাচার্য দপ্তর’নামের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করা মন্তব্যকে মিথ্যা-বানোয়াট আখ্যায়িত করে এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

নোবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি, আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন নীল দল এবং নোবিপ্রবি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন (তিন সংগঠনের) সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নিন্দা জানানো হয়। এছাড়াও নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ কর্মকর্তা ইফতেখার হোসাইন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেন বর্তমান উপাচার্য ড. মো. দিদার-উল-আলম।

এস এ টিভি'র টকশোর একাংশে দেয়া ওই বক্তব্যে ড. এম অহিদুজ্জামান বলেন,"মনে করেন যে, আমি একটা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলাম। বলা যায় যে, চল্লিশ বছর আমাকে সবাই চেনে। আমারটা কিন্তু এজেন্সিতে যাচাই হয়েছে। আর যারা দেখা যায় যে বাংলাদেশই মানেনা, আওয়ামী লীগের লোকতো নই-ই, তাকে যে ওখানে উপাচার্য করা হলো, এই ফাইলটা কিন্তু সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর হাতে গিয়ে সাইন হয়েছে। এটা কিন্তু আর এজেন্সিতে গেলো না"

এ ব্যাপারে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের দেয়া বিজ্ঞপ্তি সমূহে নিন্দা প্রকাশ করে জানানো হয়, ড. এম অহিদুজ্জামান তার এই বক্তব্যে মিথ্যা, বানোয়াট এবং সম্পূর্ণ মনগড়া তথ্য উপস্থাপন করে জাতিকে বিভ্রান্ত করার হীন চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছেন। এতে আরো বলা হয়েছে, উপাচার্যকে অপমান করার অর্থ প্রতিষ্ঠানকে অপমান করা এবং একই সঙ্গে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সাংবিধানিক ক্ষমতাবলের নিয়োগ প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তাঁদের দূরদর্শিতাকে জাতির সামনে খাটো করা হয়েছে।

এছাড়াও, গত ৮ মে নোবিপ্রবির জনসংযোগ দপ্তরের একটি পোস্টে সাবেক উপাচার্য ড.এম অহিদুজ্জামান কুয়েতে গ্রেফতার হওয়া লক্ষীপুর ২ আসনের বিতর্কিত সাংসদ কাজী শহীদ ইসলাম পাপলু ও তার স্ত্রী কাজী সেলিনা ইসলাম এম.পি এবং সম্প্রতি দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদের সঙ্গে মিলিয়ে বর্তমান উপাচার্যকে নিয়ে তিনি আপত্তিকর মন্তব্য করেছেন। এমন অনভিপ্রেত বক্তব্যের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানহানি করায় এবং অধ্যাপক এম. অহিদুজ্জামানের বক্তব্য অনভিপ্রেত ও অত্যন্ত দুঃখজনক বিধায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সংগঠন সমূহ তাঁর আপত্তিকর ও মানহানিকর বক্তব্য প্রত্যাহার করে অবিলম্বে জাতির সামনে ক্ষমা প্রার্থনার আহ্বান জানান।

প্রসঙ্গত,  গত  ২০১৯ সালের ১২ জুন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি)  নতুন উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পান অধ্যাপক ড. মো: দিদার-উল আলম। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সয়েল, ওয়াটার ও এনভায়রনমেন্ট  বিভাগের অধ্যাপক। মহামান্য  রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদ নোবিপ্রবি আইন ২০০১ এর ধারা ১০ এর (১)  অনুযায়ী আগামী চার বছরের জন্য তাঁকে নিয়োগ দেন। 
কেআই/
 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি