প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল দাবি শেকৃবি শিক্ষার্থীদের
প্রকাশিত : ১৭:০৬, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০
রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) প্রতিষ্ঠার বিশ বছরে অনেক উন্নতি হলেও শিক্ষার্থীদের কপালে জোটেনি প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল একাউন্ট। যার ফলে ই-লার্নিং, শিক্ষাবৃত্তি ও বিশেষ করে গবেষণার কাজে নানা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কিছু শিক্ষার্থী তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, ‘অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে ই-মেইল একাউন্ট দেওয়ার জন্য নোটিশ দিচ্ছে, আমাদের কি হবে?’
সারাবিশ্বের স্বনামধন্য জার্নাল হতে অনলাইনে গবেষণা প্রবন্ধ পড়া, গবেষণা প্রবন্ধ প্রকাশনা, গবেষণা অনুদান প্রাপ্তি ও শিক্ষাবৃত্তির জন্য আবেদনসহ নানা কাজে প্রয়োজন হয় প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইলের। কিন্তু এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শেকৃবি প্রশাসনের কোন তৎপরতা দেখা যায়নি। ফলশ্রুতিতে গবেষণায় আগ্রহী শিক্ষার্থীরা পড়ছেন নানা জটিলতায়। অনেকে আগ্রহ হারাচ্ছেন নানামুখী গবেষণায়।
মহামারির এই দুঃসময়ে বিশ্বিবদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল না থাকার কারণে আন্তর্জাতিক অনলাইন প্লাটফর্মগুলো থেকে একাডেমিক, ব্যবহারিক এবং ক্যারিয়ার বিষয়ক অনেক দক্ষতা অর্জন থেকে পিছিয়ে পড়ছে। এছাড়াও আনলিমিটেড গুগল ড্রাইভ ব্যবহার, বিভিন্ন লার্নিং এণ্ড ডেভেলপমেন্ট সফটওয়্যারের ফ্রি এক্সেসসহ আরও অনেক সুবিধা গ্রহণে বঞ্চিত হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। স্নাতক শেষে দেশের বাহিরের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবেদন করতে গিয়েও বাজে অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হচ্ছে অনেকে।
কৃষি ব্যবসা ব্যবস্থাপনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান সরকার প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল এর প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বলেন, ‘প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল একজন শিক্ষার্থীর পরিচয় বহন করে। গবেষণার ক্ষেত্রে বিভিন্ন জার্নাল পড়া। বাইরের দেশে আবেদন করার ক্ষেত্রে এর গুরুত্ব অপরিসীম। এ মাধ্যমে ই-মেইল ফেইক হওয়ার সম্ভাবনা নেই। কারণ এটি একটি নির্দিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়কে রিপ্রেজেন্ট করবে।’
এ বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার শেখ রেজাউল করিম বলেন, ‘যেহেতু প্রশাসনে এখন কেউ নেই, তাই এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতনের সিদ্ধান্ত জানানো কষ্টকর। তবে প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল দিতে সমস্যা থাকার কথা না। আমরা এটা পজিটিভলি চিন্তা করব। তবে পরবর্তী ভিসি, প্রো ভিসি এবং ট্রেজারার নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত একটু সময় নিতে হবে।’
এআই/এনএস/
আরও পড়ুন