ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

আইসিইউ না পেয়ে রাবি শিক্ষার্থীর মৃত্যু! 

রাবি সংবাদদাতা

প্রকাশিত : ১৯:৩৬, ১ অক্টোবর ২০২০

রাবি শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন

রাবি শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল মামুন

রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে আইসিইউ না পেয়ে আবদুল্লাহ আল মামুন নামে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) সকাল ৯টার দিকে ওই শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়।

মৃত আব্দুল্লাহ আল মামুন রাজশাহীর নওহাটা এলাকার আক্কাস আলীর ছেলে ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের মনোবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী। তিনি নগরীর ‘তন্নী ছাত্রাবাসে’ থাকতেন বলে জানা গেছে। তার মৃত্যুতে পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। 

তার সহপাঠী ঈসমাইল হোসেন বলেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন আলসার ও জন্ডিসে ভুগছিলেন। তবে জন্ডিসের কারণে সম্প্রতি তার কিডনি ‘অচল’ হয়ে যায়। আজ ভোর রাত ৪টার দিকে আব্দুল্লাহ আল মামুনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আইসিইউ'র প্রয়োজন পড়ে। রাজশাহী মেডিকেলে আইসিইউ’র জন্য যোগাযোগ করলে একটি সিট ফাঁকা আছে বলে জানানো হয়।

তিনি আরও বলেন, ওই সিট পেতে হলে হাসপাতালের পরিচালকের (ডিরেক্টর) লিখিত অনুমতি লাগবে বলে দায়িত্বরতরা জানান। সিট পেতে হাসপাতাল পরিচালককে রাতে ফোন করেন তারা; তবে তিনি ফোন ধরেননি। পরে বিভাগের শিক্ষক ও সাবেক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে হাসপাতালে আইসিইউ'র ব্যবস্থা করার চেষ্টা করেন তারা। কিন্তু এর মধ্যেই মামুনের মৃত্যু হয়।

এ বিষয়ে মনোবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. এনামুল হক বলেন, মামুনের আইসিইউ’র ব্যবস্থা করার জন্য তার বাবা ও বন্ধুরা যোগাযোগ করেছিলেন। আজ রাত ৪টার দিকে আমাকে এক ছাত্র মেসেজ করে আইসিইউ'র জন্য সহযোগিতা করতে অনুরোধ জানান। ঘুমিয়ে থাকায় তখন মেসেজের সাড়া দিতে পারিনি। পরে যোগাযোগ করা হলেও আইসিইউ পাওয়ার আগেই মারা যায় সে।

তিনি আরও বলেন, বাঁচানোর মালিক আল্লাহ। সে যদি আইসিইউ পেত তাহলে চিকিৎসাটা আরও ভালো হত। এমন দুঃসংবাদ আসতো কিনা সেটা জানি না।

এ বিষয়ে জানতে হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল জামিলুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায় নি।

হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌসের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন নামের কারো মৃত্যু হয়েছে বলে আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখছি।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি