ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

হাবিপ্রবিতে রেজিস্ট্রারের দায়িত্বে অব্যাহতি নেয়া শিক্ষক

হাবিপ্রবি সংবাদদাতা 

প্রকাশিত : ১৩:০০, ৯ অক্টোবর ২০২০

অধ্যাপক মোহাম্মদ রাজিব হাসান

অধ্যাপক মোহাম্মদ রাজিব হাসান

ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক কারণে ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেয়া শিক্ষক অধ্যাপক মোহাম্মদ রাজিব হাসানকে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

গত ৭ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেমের অনুমোদনক্রমে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি  রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত অফিস আদেশের মাধ্যমে প্রফেসর ডা. মো. ফজলুল হকের স্থলাভিষিক্ত করা হয় তাকে। নতুন করে দায়িত্ব দেয়ার পর থেকেই বিভিন্ন মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই তার এই দায়িত্ব পাওয়া নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, আবার অনেকেই অভিনন্দন জানিয়েছেন।

অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, যে শিক্ষক ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের দায়িত্ব পালনের সময় ব্যক্তিগত ও পারিবারিক কারণ দেখিয়ে অব্যাহতি নিলেন, সেই শিক্ষক কিভাবে রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পালন করবেন। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন রেজিস্ট্রারকে অফিসিয়াল কাজে সবচেয়ে বেশি সময় দিতে হয়। অন্যদিকে তিনি একটি বিভাগের শিক্ষক। তাহলে কি বিষয়টি সাংঘর্ষিক হয়ে যাচ্ছে না! 

ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালকের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেয়ার সময় অধ্যাপক মোহাম্মদ রাজিব হাসান সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন,  ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের অতিরিক্তি দায়িত্বের ফলে পাঠদান ও গবেষণায় সময় দিতে পারছি না। একইসঙ্গে এই বাড়তি দায়িত্বের কারণে পরিবারকেও সময় দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। 

রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব পাওয়ার পর এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান, ‘ওই সময় পারিবারিক সমস্যা ছিল, সেটি এখন ওভারকাম হয়েছে। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান হিসেবে উপাচার্য মহোদয় আমাকে রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব দিতে চাইলে আমি পরিবারের সাথে আলোচনা করেই স্যারকে দায়িত্ব গ্রহণের সিন্ধান্ত জানাই।’

অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিজিটাল ডায়েরিতে অধ্যাপক রাজিব হাসানের ব্যক্তিগত যে নাম্বারটি রয়েছে সেই নাম্বারে ফোন করা হলে ঢাকাস্থ একজন মহিলা ফোন ধরে জানান, ‘আমি ৪ বছর আগে সিমটি কিনেছি এবং সেটিই ব্যবহার করছি। রাজিব হাসান স্যারকে আমি চিনি না। অনেকেই ওই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমাকে ফোন দিয়েছে।’

এ ব্যাপারে অধ্যাপক রাজিব হাসান জানান, ‘২০০৫ সালে বিদেশে যাওয়ার পর সিমটি বন্ধ ছিলো এবং ওই সময় আমি সিমটি রেজিস্ট্রেশন করতে পারিনি। যে কারণে গ্রামীণ ফোন হয়তো সিমটি অন্যত্র বিক্রি করে দিয়েছে। তিনি আরও জানান, প্রিন্ট ডায়েরিতে আমার বর্তমান নাম্বারটি দেয়া আছে। আর ডিজিটাল ডায়েরির নাম্বারটি চেঞ্জ করার জন্য আমি আইটি সেলকে জানিয়েছি।’

বিষয়টি জানতে আইটি সেলের কো-অর্ডিনেটর ও ইসিই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. মেহেদী ইসলাম জানান, ‘আমাকে নাম্বার চেঞ্জের বিষয়ে কেউ কিছু জানায়নি। আইটি সেলের রাশেদ বা অন্য কাউকে জানাতে পারে।’

এআই/এমবি


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি