ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগে অনিয়ম (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:০৩, ১৭ অক্টোবর ২০২০

খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে প্রার্থী হয়েছেন ভিসির স্ত্রী, ছেলে এবং মেয়ে। আর ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার দায়িত্বে থেকেই আবারও রেজিস্ট্রার পদে আদেন করেছেন। এমন নিয়োগ কাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন।  

জান যায়, ২০১৯ সালে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হয়। বর্তমানে শিক্ষার্থী ভর্তির পাশাপাশি চলছে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া। এ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের সই করা নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে রেজিস্ট্রার পদে প্রার্থী হয়েছেন তিনি নিজেই। এই পদে প্রার্থী হতে হলে কমপক্ষে ১৫ বছরের অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হলেও তার অভিজ্ঞতা ৯ বছর ৩ মাস। তবে তার দাবি প্রার্থী হতে আইনী বাধা নেই। 

জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার ডা. খন্দকার মাজহারুল আনোয়ার বলেন, ‘আমি বাংলাদেশের নাগরিক। আমার আবেদন করার অধিকার আছে। এতে আইনগত কোন বাধা নেই। যে প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, এতে আমি জড়িত নই।’

২০১৯ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সাতজন সহকারী অধ্যাপকসহ ৭৬ জন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। যেখানে আবেদন করেছেন ভিসির স্ত্রী, পুত্র ও মেয়ে।  

জানতে চাইলে ভিসি ড. শহীদুর রহমান খান বলেন, ‘যোগ্যতার ভিত্তিতে যেকোন ব্যক্তি সিলেক্ট হতে পারেন। আর যদি তা না থাকে তাহলে স্ত্রী, সন্তান কিংবা যেকোন ব্যক্তি হোক না কেন কিছু করার নেই। এতে নিয়মের কোন ব্যত্যয়  ঘটেনি।’

তবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন বলছে, এমন আবেদন নৈতিকতা পরিপন্থি। বাছাই কমিটি কিভাবে তাদের আবেদন গ্রহণ করলো এ নিয়ে প্রশ্ন ইউজিসির।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান মুঠোফোনে বলেন,‘ভাইস চ্যান্সেলরের স্ত্রী যদি এখানে আবেদন করে থাকেন, তাহলে এখানে সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে হবে। কিন্তু নৈতিকতার দিক থেকে এক্ষেত্রে উপাচার্য সভাপতিত্ব করতে পারেন না।’

রেজিস্ট্রারের আবেদন বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যেহতু তিনি ওই দায়িত্বে এতদিন ভারপ্রাপ্ত হিসেবে ছিলেন। তাই নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলে তার উচিত ছিল আবেদন করার আগে দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়া।’ 

এআই//এমবি


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি