ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ইবি ক্যাম্পাসে লাঞ্ছনার শিকার রাবির ৬ শিক্ষার্থী!

রাবি সংবাদদাতা :

প্রকাশিত : ১৭:৫৩, ৪ নভেম্বর ২০২০

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ৬ শিক্ষার্থীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রক্টর প্রফেসর ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (৩ নবেম্বর) ইবি ক্যাম্পাসে রাবির ৬ শিক্ষার্থী এক সাথে ঘুরতে গেলে এমন ঘটনার শিকার হয়েছে বলে জানান ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। এদিকে এ ঘটনায়  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয়ছে তীব্র সমালোচনা। লাঞ্ছনার শিকার হওয়া সবাই রাবি'র ১৮-১৯ সেশনের বিভিন্ন বিভাগের ছাত্র।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, "আমরা ছয়জন শিক্ষার্থী ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ঘুরতে যাই। ক্যাম্পাসের মূল ফটক দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করি কোন প্রকার বাঁধা ছাড়াই।আমরা তখন ইবির কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীর সামনে অবস্থান করছিলাম। এমন সময় একটি প্রাইভেট কার এসে আমাদের সামনে দাঁড়ায় এবং ইবি প্রক্টর পরেশ কুমার সাহা স্যার (পরে জানতে পারি) আমাদের পরিচয় জিজ্ঞেস করেন। আমরা রাবির শিক্ষার্থী পরিচয় দিতেই উনি খুব খারাপভাবে রিয়াক্ট করেন এবং বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকো আসুক আর আফগানিস্তান থেকে আসুক, চলে যাও,যাও।এভাবে তেড়ে আমাদের বাইরে চলে যেতে বলেন। চরম লজ্জিত আর অপমানিত হয়ে আমরা ফিরে যাওয়ার উদ্দেশ্যে হাটা শুরু করি। তিনি আমাদেরকে পেছন থেকে ফলো করছিলেন। কিছু ছবি নেয়ার জন্য ইবির প্রশাসনিক ভবনের সামনে দাড়াঁলে তিনি প্রচন্ড বেগে গাড়ি তেড়ে এসে, রেগে আগুন হয়ে আঙুল তুলে, তুই তুকারী করে, খুব বাজেভাবে তাড়িয়ে দেন। আমরা একজন শিক্ষকের থেকে এমন অসঙ্গত আচরণ কখনোই আশা করি না।"

বিষয়টি অস্বীকার করে ইবি প্রক্টর প্রফেসর ড. পরেশ চন্দ্র বর্মণ বলেন, সেদিন বিকেলের দিকে ক্যাম্পাস পরিদর্শনের জন্য বের হই। কর্মচারী কোয়াটার থেকে কিছু অভিযোগ ছিল যে, ছোট বাচ্চাদের খেলার সময় বহিরাগতরা এসে তাদের বিরক্ত করছে। আমি গাড়ি নিয়ে বের হতেই দেখলাম কোয়াটারের ওখানে পুরো রাস্তাটা ব্লক করে দাঁড়ায় আছে কয়েকজন। আমি গাড়ি থামালাম তারা রাস্তার পাশে গিয়ে দাঁড়াল, গাড়ি থেকে না নেমেই জিজ্ঞাসা করলাম তোমরা কারা? তখন তাদের মধ্যে থেকে একজন হাত দিয়ে ইশারা করে বললো তাদের বাড়ি শান্তিডাঙ্গা, ছাত্র না।

তখন আমি বললাম, মাস্ক নাই তোমাদের এভাবে এখানে ঘোরাফেরা করা উচিৎ না চলে যাও। তখন তাদের কেমন যেন একটা ইগনরেন্সভাব দেখলাম। এপরেও তারা হেলেদুলে হাটতে শুরু করে আমি ডরমেটরির দিকে চলে আসলাম। ওখানে গিয়ে দেখলাম লাইব্রেরির সামনে গিয়ে আবার তারা দাঁড়িয়ে আছে কিন্তু এদিকে কয়েক মিনিট হয়ে গেছে। আমি আবার তাদের কাছে গিয়ে বললাম তোমাদের তো চলে যাওয়া উচিৎ ছিল।

আমি বললাম যে তোমাদের মাস্ক নাই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই হও বা আফগান থেকেই হও (যদিও এই শব্দটি ভুল করে বের হয়ে গেছে) তোমরা এখান থেকে চলে যাও।

এমন সময় হঠাৎ তারা আবার প্রশাসন ভবনের সামনে এসে দাঁড়ালো এবং আমার গাড়িটার দিকে বারবার তাকাচ্ছিল। আমি বললাম তোমরা এখনো আছ যাও তো। তখন তারা হেলতেদুলতে সোজা বের না হয়ে ফুটবল মাঠের দিকে যাচ্ছে তখন গাড়ি থেকে নেমে তাদের বললাম তোমরা তো সহজ বা নরম ভাষার মানুষ না। এবার চতুর্থবার তাদেরকে বলছি।

তিনবার তাদের সাথে নরম সুরে কথা বলেছি কোন কাজ হয়নি। এরজন্য চতুর্থবার যে কেউই রাগ করে উচ্চস্বরে কথা বলবে এটাই স্বাভাবিক। তখন তাদের উচ্চস্বরেই বের হতে বলেছি। তবে তাদের সাথে তুই তুকারী করিনি। আর একজন শিক্ষক হিসেবে এটা আমার দ্বারা সম্ভবও না।

আরকে//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি