ডুয়েট উপাচার্যের দায়িত্ব নিলেন অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমান
প্রকাশিত : ২১:৩৭, ১৮ নভেম্বর ২০২০
ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট), গাজীপুর-এর ৬ষ্ঠ উপাচার্য হিসেবে আজ বুধবার (১৮ নভেম্বর, ২০২০ খ্রি.) দায়িত্ব গ্রহণ করলেন প্রকৌশল শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমান। দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি ডুয়েটের মূল ফটকে স্থাপিত সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন।
নবনিযুক্ত উপাচার্যকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান ডুয়েট শিক্ষক সমিতি, পরিচালক (ছাত্র কল্যাণ)-এর দপ্তর, অফিসার্স এসোসিয়েশন, কর্মচারী সমিতিসহ অনেকেই। এ সময় তিনি প্রকৌশল ও প্রযুক্তিগত শিক্ষা ও গবেষণায় ডুয়েটকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
গতকাল মঙ্গলবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব মো. নূর-ই-আলম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, তিনি চার বছরের জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হাবিবুর রহমান বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন। তিনি একজন পানি সম্পদ ও পরিবেশ প্রকৌশল বিশেষজ্ঞ। এর আগে তিনি বুয়েটের উপ-উপাচার্য, ঢাকা ওয়াসার চেয়ারম্যানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তিনি পেশাজীবী সংগঠন বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের সভাপতি। তিনি বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ থেকে ১৯৮২ সালে স্নাতক (ইঞ্জি.) ও ১৯৮৪ সালে পরিবেশ প্রকৌশল বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। যুক্তরাজ্যের গ্লাসকোর স্ট্র্যাথক্লাইড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৮৯ সালে তিনি পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তাঁর যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত ও বাংলাদেশ থেকে প্রকাশিত ২০টিরও অধিক বইয়ের কয়েকটি অধ্যায় এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক জার্নাল ও কনফারেন্স প্রোসিডিংস-এ ১৬০টিরও অধিক পেপার প্রকাশিত হয়েছে।
‘বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড’-এর তিনটি অধ্যায় (পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন ও অগ্নিনিরোধ) রচনায় তিনি মূল্যবান অবদান রেখেছেন। তিনি ইউএনসিআরডি-জাপান, বিশ্বব্যাংক, আইডিবি, ইসি ও World Health Organization (WHO)-এর প্রজেক্ট সহ প্রায় ৬০টি সিভিল, পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন ও এনভায়রনমেন্টাল ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পের মত গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় প্রকল্পে পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছেন। সম্প্রতি তিনি প্রকৌশল বিষয়ে পাঠ্য বই প্রকাশের জন্য ইউজিসি স্বর্ণপদক পেয়েছেন। এছাড়া তিনি আইইবির ৫৭ তম কনভেনশনে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও গবেষক হিসেবে আইইবি স্বর্ণপদক পেয়েছেন।
তিনি কুড়িগ্রাম জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার ধনি গাগলা গ্রামে ১৯৫৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মরহুম মো. নাছির উদ্দিন ব্যাপারী এবং মাতা মরহুম হাবিজন নেছা। ব্যক্তি জীবনে তিনি এক পুত্র ও এক কন্যার জনক।
আরকে//
আরও পড়ুন