শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, আহত ১০
প্রকাশিত : ০৮:৫৬, ২৮ নভেম্বর ২০২০
রাজশাহী শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে হামলার এ ঘটনায় পঞ্চম ও ষষ্ঠ ব্যাচের ১০ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। তাদেরকে তাৎক্ষণিকভাবে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত শিক্ষার্থী রায়হান, সুস্মিতা ও জেবা জানায়, ‘আগামীকাল (আজ) শনিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে একটি টিম রাজশাহী শাহ মখদুম মেডিকেল কলেজ পরিদর্শনে আসবে। এ জন্য ভাড়া করে কিছু দামি জিনিসপত্র কলেজে নিয়ে যাওয়া হয় পরিদর্শকদের দেখানোর জন্য। এ খবর পেয়ে বিকেলে ওই কলেজের শিক্ষার্থীরা সেখানে যায় এ সেগুলোর ছবি তুলছিল। এসময় ‘কলেজের বিপক্ষে আন্দোলন করো; আন্দোলন করা দেখাচ্ছি’ বলেই কলেজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুজ্জামান স্বাধীনের সামনে তার ভাই মিঠু, ও টিটু কলেজের কিছু স্টাফসহ বহিরাগত ক্যাডার ডেকে এনে আমাদের ওপর হামলা করে। তারা আমাদের লাঠি গিয়ে পিটিয়ে জখম করে এবং মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়।’
চন্দ্রিমা থানার ওসি সিরাজুম মনির বলেন, ‘শাহমখদুম মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীর উপর হামলার একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা মিঠু নামের একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে এসেছি। ঘটনা তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
হামলার প্রত্যক্ষদর্শী মেধা নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘হামলাটি ছিল সম্পূর্ণ পরিকল্পিত। কোনো কারণ ছাড়ায় পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে। আমরা এই হামলার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার করা না হলে আমরা তীব্র আন্দোলনে যাব।’
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের (বিএমডিসি) অনুমোদনহীন এই প্রতিষ্ঠানটিতে কয়েক দফায় ২২৫ শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়েছে। গত ২ নভেম্বর স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রাণলয়ের উপসচিব বদরুন নাহার স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে কলেজটি বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়। এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানান কলেজের শিক্ষার্থীরা। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে তাদের অন্য যে কোন মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরের দাবি জানিয়ে আসছিলেন। এরই মধ্যে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করে কলেজ কর্তৃপক্ষ। মন্ত্রণালয় এই আবেদন গ্রহণ করেছে।
এ জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি দল আজ শনিবার কলেজটি পরিদর্শনে আসছে। এর আগের দিনই কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটল। প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুজ্জামান স্বাধীন বলছেন, দু’পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। তবে এটি শিক্ষার্থীদের পরিকল্পিত ঘটনা। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি দল আসছে বলেই ঘটনাটি ঘটানো হয়েছে।
এআই/এসএ/
আরও পড়ুন