ঢাকা, রবিবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

ব্যাটেল অব মাইন্ডস চ্যাম্পিয়ন ‘টাইম ট্রাভেলার্স’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৫৭, ১৫ ডিসেম্বর ২০২০

তরুণদের দক্ষতা উন্নয়নের প্ল্যাটফর্ম ‘ব্যাটেল অব মাইন্ডস-২০২০’ এর ১৭তম আসরে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে টাইম ট্রাভেলার্স। প্রথম রানার্সআপ এ্যানিথিং ওয়ার্কস এবং দ্বিতীয় রানার্স আপ হয়েছে গো ফর ইট।

বিজয়ীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (আইবিএ), বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (আইইউবি), বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি) এবং ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) এর শিক্ষার্থী।

কয়েক মাস ধরে চলতে থাকা এই প্রতিযোগিতায় প্রায় ২ হাজার ৮০০ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। প্রশিক্ষণ এবং বেশ কয়েকটি প্রতিযোগিতামূলক ধাপের মাধ্যমে চূড়ান্ত পর্যায়ে সোমবার (ডিসেম্বর ১৪) এই তিনটি দলকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

‘ব্যাটেল অব মাইন্ডস-২০২০’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ব্যাটেল অব মাইন্ডসের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা যেমন তাদের মেধা প্রদর্শন করতে পারে, তেমনি প্রচলিত গণ্ডির বাইরে গিয়ে ভাবতে শেখেন। আগামীর জন্য নেতৃত্ব তৈরি করতে পুঁথিগত বিদ্যা এবং কর্পোরেট কর্মজীবনের মধ্যে মেলবন্ধন তৈরি করে এই প্ল্যাটফর্ম। 

এছাড়া প্ল্যাটফর্মটি কর্মসংস্থান তৈরিতে ভূমিকা রাখার মাধ্যমে বেকারত্বের সমাধানও নিশ্চিত করছে, যা বাংলাদেশ সরকারেরও অন্যতম প্রধান লক্ষ্য বলে উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের মেধাবী তরুণরা দেশের অর্থনীতিতে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। এই তরুণ জনসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। ভবিষ্যতে তরুণরা যেন সঠিক জ্ঞান এবং কর্মদক্ষতায় সমৃদ্ধ হয়ে ওঠে। তরুণদের প্রতিভা বিকাশে সঠিক প্ল্যাটফর্ম আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। সৃষ্টিশীলতা, আবিষ্কার, প্রতিযোগিতা, উৎসাহ, নেটওয়ার্কিং হচ্ছে সমৃদ্ধির মূল মন্ত্র, যা জীবনে চলার পথকে মসৃণ করে।

অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকো বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শেহজাদ্ মুনীম বলেন, হাতে হাত ধরে সাফল্যের পথে এগিয়ে যাওয়াতে বিশ্বাস করে বিএটি বাংলাদেশ। এটাই এই প্রতিষ্ঠানের মূলমন্ত্র। গত দেড় যুগের বেশি সময় ধরে ব্যাটেল অব মাইন্ড দেশজুড়ে কয়েক হাজার মেধাবী তরুণদের এমন একটি প্লাটফর্ম প্রদান করেছে, যেখানে তারা বাস্তব জীবনের সমস্যা সমাধানে নিজেদের দক্ষতা প্রদর্শন করে আসছে। 

তিনি আরও বলেন, এই প্রতিযোগীতার লক্ষ্য হলো শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে সেরাটা বের করে আনা এবং আশা করি আমরা সেই লক্ষ্যে সফল হয়েছি। দেশে তরুণদের প্রতিভা বিকাশে এবং বাংলাদেশ সরকারের টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের অংশ হিসেবে কর্মসংস্থান তৈরিতেও ব্যাটেল অব মাইন্ডস আরও বেশি ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

‘ব্যাটেল অব মাইন্ডস’ প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা এবং কর্পোরেট জগতের অভিজ্ঞতার সেতুবন্ধন তৈরি করে। বাংলাদেশের তরুণদের উৎকর্ষতা ও মানবসম্পদ উন্নয়নে এই প্ল্যাটফর্ম অঙ্গীকারবদ্ধ।

প্রসঙ্গত, ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোব্যাকো বাংলাদেশ ২০০৪ সাল থেকে ব্যাটেল অব মাইন্ডস আয়োজন করছে। এবছর ১৭তম আসর অনুষ্ঠিত হয় ভার্চুয়ালি এবং সেখানে দেশের ২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২ হাজার ৮শ’ শিক্ষার্থী নিবন্ধন করে স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করে। 

অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের মৌলিক এবং উদ্ভাবনী ধারণার মাধ্যমে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করেন। গ্র্যান্ড ফিনালে অংশগ্রহণকারীরা নির্ধারিত বিচারক প্যানেলের সামনে নিজেদের চূড়ান্ত পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। বিভিন্ন ধাপে বাছাই পদ্ধতির মধ্য দিয়ে সেরা ১৮ জন শিক্ষার্থী চূড়ান্ত পর্বে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়।
এএইচ/এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি