এইচএসসির ফল : রেকর্ড জিপিএ-৫
প্রকাশিত : ১৩:৪৮, ৩০ জানুয়ারি ২০২১
চলমান করোনার মহামারির কারণে দেশে প্রথমবারের মতো পরীক্ষাবিহীন এইচএসসি ও সমমানের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। যেখানে ফেল করেনি কেউ। জিপিএ-৫ পেয়েছেন আগের বছরের তুলনায় তিনগুণ শিক্ষার্থী। যার সংখ্যা রেকর্ড ১ লাখ ৬১ হাজার ৮০৭ জন।
গত বছর ৩.৫৪ শতাংশ হারে জিপিএ-৫ পেয়েছিলেন ৪৭ হাজার ২৮৬ জন। এবার তা বেড়ে হয়েছে ১১.৮৩ শতাংশ।
এর আগে আজ শনিবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠানে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি গণভবন থেকে অনলাইনে সংযুক্ত হয়েছিলেন। ফলের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তিনি এ অনুলিপি গ্রহণ করেন।
এর আগে মহামারির কারণে ২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা বাতিল করা হয়। পরে এবার জেএসসি-এসএসসির গড় ফলের ভিত্তিতে ২০২০ সালের এইচএসসির ফল প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
মোট জিপিএ-৫ পাওয়াদের মধ্যে সাধারণ ৯টি বোর্ডে পেয়েছেন এক লাখ ৫৩ হাজার ৬১৪ জন, মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের অধীনে আলিমে পেয়েছেন ৪ হাজার ৪৮ জন এবং কারিগরি বোর্ডের অধীনে এইচএসসি, এইচএসসি (ভোকেশনাল/বিএম) জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৪ হাজার ১৪৫ শিক্ষার্থী।
এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা ছিল গেল বছরের ১ এপ্রিল। কিন্তু মহামারি করোনাভাইসের প্রকোপ বাড়ায় ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হয়। সেই সঙ্গে বাতিল করা এইচএসসি পরীক্ষাও। ১১টি শিক্ষা বোর্ডে ১৩ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭৭ জন শিক্ষার্থীর এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নেয়ার কথা ছিল। পরে পরীক্ষা নেয়ার পরিবর্তে জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার ফল মূল্যায়ন করে এইচএসসির ফলাফল নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সেই আলোকে বিশেষ পরিস্থিতিতে পরীক্ষা ছাড়াই ফল প্রকাশের আইনের গেজেট প্রকাশিত হয়। ফলে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসএসি) ও এসএসসি পরীক্ষার ভিত্তিতে ২০২০ সালের এইচএসসির ফল প্রকাশের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে যায়। এরপর প্রধানমন্ত্রীর প্রধানমন্ত্রীর সময় চেয়ে চিঠি পাঠানো হয় এবং তার সম্মতির জন্য অপেক্ষা করা হয়।
পরীক্ষা ছাড়া ২০২০-এর এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ করতে আইন সংশোধন করে গেজেট প্রকাশ করে সরকার। সংসদে পাস হওয়া তিনটি বিলে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ স্বাক্ষর করার পর গত সোমবার রাতে তা গেজেট আকারে জারি করা হয়।
এআই/এসএ/
আরও পড়ুন