ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

ইউজিসির প্রতিবেদন নিয়ে যা বললেন বেরোবি উপাচার্য

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৪৭, ৪ মার্চ ২০২১

নিজের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির সকল অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) তার বিরুদ্ধে দুটি উন্নয়ন প্রকল্পে দুর্নীতির প্রমাণ পেয়েছে মর্মে প্রতিবেদন দিয়েছে। এর পরপরই টনক নড়ে এই উপাচার্যের।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সকল অভিযোগ অস্বীকার করেন কলিমুল্লাহ। তিনি বলেন, ‘আমি শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির ষড়যন্ত্র ও রাজনীতির শিকার।’ 

বেরোবির এই উপাচার্য বলেন, ‘ইউজিসির রিপোর্টের দায় শিক্ষামন্ত্রীর। আমাদের দেশে দুর্নীতি নিয়ে যে সমস্যা সেটা হচ্ছে ধামাচাপা দেওয়ার একটা সংস্কৃতি আছে। শিক্ষামন্ত্রীর অফিস থেকে কয়েক পৃষ্ঠার খণ্ডিত অংশ নিয়ে লিক করা হয়েছে। এটা ন্যাক্কারজনক রাজনীতির একটা অপকৌশল। শিক্ষাঙ্গন সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের হীন রাজনীতি করার জায়গা না।’

প্রসঙ্গত, উপাচার্য নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহর অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার ৪৫টি অভিযোগ তদন্তের উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। সম্প্রতি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি ১০তলা ভবন ও একটি স্মৃতিস্তম্ভের নির্মাণকাজে উপাচার্যের অনিয়মের সত্যতা পেয়েছে ইউজিসির আরেকটি সরেজমিন তদন্ত কমিটি। এর জন্য উপাচার্যসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ওই কমিটির প্রতিবেদনে সুপারিশ করা হয়েছে।

এসবের প্রেক্ষিতে আজ এই সংবাদ সম্মেলন ডাকেন উপাচার্য এ নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমি আজ ঝেড়ে কেশে বলার জন্যই বসেছি এবং এ জন্য পরিণতি কী হবে, সেটা বিবেচনা করেই এসেছি।’ 

সংবাদ সম্মেলনে ইউজিসির মর্যাদা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। তিনি মনে করেন, এসবের পেছনে কুমিল্লা ও চাঁদপুরের রাজনীতি আছে। কারণ তাদের দুজনের (শিক্ষামন্ত্রী ও উপাচার্যের) বাড়ি একই অঞ্চলে। 

ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত থাকা, প্রকল্পের অনিয়মের অভিযোগসহ বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে করা প্রশ্নের জবাবে নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বলেন, ‘অতিসম্প্রতি বিভিন্ন গণমাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনকে (ইউজিসি)-কে উদ্ধৃত করে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরের বিশেষ উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগ নিয়ে প্রকাশিত সংবাদগুলো আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে।’

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুরের চতুর্থ উপাচার্য হিসেবে আমার দায়িত্ব গ্রহণের পর নানামুখী চ্যালেঞ্জ ও প্রতিকূলতাকে মোকাবিলা করে বিশ্ববিদ্যালয়টি যখন গুণগত ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে এগিয়ে যাচ্ছে, ঠিক সেই মুহূর্তে সত্যকে আড়াল করে এ ধরনের মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারকে মর্মাহত করেছে। যদিও ইউজিসির তদন্ত প্রতিবেদন আনুষ্ঠানিকভাবে আমরা পাইনি। আমরা লক্ষ্য করছি, চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার আগেই এই বিষয়ে অসত্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্য জনমনে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করছে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।

এ সময় নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হেনা মোস্তফা কামাল, কয়েকজন প্রকৌশলী এবং শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একাংশ উপস্থিত ছিলেন।
এআই/এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি