চাঁদা চাওয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগ নেতাকে পেটালো অন্য নেতারা
প্রকাশিত : ২১:১২, ৬ জুন ২০২১
বিশ্ব পরিবেশ দিবসে গাছ রোপনের জন্য অর্থ চেয়ে অধ্যক্ষের কাছে গিয়েছিলেন কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও নতুন কমিটির পদপ্রার্থীরা। সেখানে টাকা চাওয়ার ঘটনা জানাজানিকে কেন্দ্র করে সাবেক সহ-সভাপতি শিমুল মোল্লাকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেছে অন্য নেতারা।
রোববার (০৬ জুন) দুপুরে রাজধানীর কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।
এতে কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক কমিটির সহ-সভাপতি শিমুল মোল্লা গুরুতর আহত হয়েছেন। এ সময় শিমুলের মাথায় ভারী রড দিয়ে আঘাত করা হয়। পরে গুরুতর আহতাবস্থায় তাকে হাসপাতালে নেয়া হলে তার মাথায় ৮টি সেলাই দেয়া হয়।
আহত শিমুল মোল্লা কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির ডিগ্রি শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী।
এ ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন- সহ-সভাপতি ফারুক হাওলাদার, আনোয়ার হোসেন, বেলায়েত হোসেন সাগর, জাহাঙ্গীর হোসেন টুটুল, অমিত পাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মামুন শুভ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম পাবেল, সাংগঠনিক সম্পাদক, জহিরুল ইসলাম রাকিব, ইমাম হোসেন বাবু, নোবেল খান।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কমিটি না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কর্মসূচি ও জাতীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠান-দিবসে স্থানীয় বিভিন্ন মহল এবং বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চাঁদা নেয়ায় প্রভাব খাটিয়ে বেড়াতো কমিটির বিভিন্ন গ্রুপ ও উপগ্রুপ। বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বৃক্ষ রোপনের জন্য চাঁদা চাইতে প্রিন্সিপাল আমেনা বেগমের রুমে ঢুকে ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তরা। প্রিন্সিপালের রুমে ঢোকা ও চাঁদার বিষয়ে জেনে যাওয়ায় ভুক্তভোগীর ওপর চড়াও হয়ে তাকে উপর্যুপরি পিটিয়ে জখম করে অভিযুক্তরা।
অনুসন্ধানে জানা যায়, কমিটি বিলুপ্তির পর থেকেই সংগঠনে উপদলীয় তৎপরতা শুরু হয়। বেপরোয়া হয়ে ওঠেন বিভিন্ন নেতাকর্মীরা। পিটানোর ঘটনায় অভিযুক্ত কয়েকজনের বিষয়ে খোজ নিয়ে জানা যায় এদের মধ্যে ফারুক হাওলাদার, রিফাত ও সজলের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে থানায় জিডি রয়েছে। এছাড়া পাবেল ছিলেন ছাত্রদলের নেতা ও রাকিব বিরুদ্ধে রয়েছে বিবাহিত থাকার অভিযোগ।
জানতে চাইলে ভুক্তভোগী শিমুল মোল্লা বলেন, আমি সবসময়ই প্রিন্সিপাল ম্যাডামের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করতাম। আজকে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে উনার রুমে ঢুকার পর ওদেরকে (অভিযুক্তদের) দেখতে পাই। সেখান থেকে বের হওয়ার পর তারা আমাকে উপর্যুপরি পিটাতে থাকে।
এ বিষয়ে জানতে কবি নজরুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম রাকিবের নম্বরে বারবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
এ বিষয়ে সূত্রাপুর থানার ওসি মুহাম্মদ মামুনুর রহমান বলেন, ফুলদানি দিয়ে একজন আরেকজনের মাথায় আঘাত করার কিছুক্ষণ পরেই পাশে থাকা পুলিশ এগিয়ে গিয়েছিলো। কিন্তু তারা বলে এটা নিজেদের ঘটনা মিটমাট করে নেবে। পরে এসে একটা লিখিত অভিযোগও দেয়া হয়। কিন্তু এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে তাদের খোঁজ করা হলেও কারো হদিস মেলেনি। আমরা তদন্ত করছি, দ্রুত ব্যবস্থা নিবো।
এসি
আরও পড়ুন