ঢাকা, রবিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

অর্থ সংকটে ব্যাহত চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:০৮, ১০ জুন ২০২১

Ekushey Television Ltd.

অর্থ সংকটে ব্যাহত হচ্ছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা কার্যক্রম। এরইমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে করোনা গবেষণা। এ অবস্থায় সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকেও এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছেন গবেষক ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকরা।

করোনা সংকটের পর ভাইরাসের জিনোম সিয়োকেয়েন্সিং করে আসছিলো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। বায়োকেমিষ্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগ এবং উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা গবেষণা কাজটি চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এ পর্যন্ত ৩৩টি নমুনার জিনম সিকোয়েন্সিং হয়েছে। এর মধ্যে ১২টি গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ অন শেয়ারিং অল ইনফ্লুয়েঞ্জা (জিআইএসএআইডি) ডাটাবেইসে জমা হয়েছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খন্দোকার রেজাউর রহমান বলেন, সিকোয়েন্সিংয়ের প্রথম ধাক্কায় আমরা কেমিক্যাল পাচ্ছিলাম না। আমাদের গবেষণা যেটা এক মাস আগে হওয়ার কথা ছিল সেটা দুই মাস পিছিয়ে যায় শুধুমাত্র কেমিক্যালটা বাইরের দেশ থেকে আনার জন্য। তারপর মেশিনারিজের সমস্যা রয়েছে, ফান্ডিংটা হচ্ছে বড় ফ্যাক্টর।

বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিষ্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. রবিউল হোসেন ভুইয়া বলেন, করোনাভাইরাসের সিকোয়েন্স করে দেখেছি যে, আমাদের সাথে আমেরিকা, ইউকে, সৌদি আরব, তাইওয়ান ও ভারতের সাথে মিল আছে। 

একইভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগ প্রথমবারের মত ১৯টি ভেষজ উদ্ভিদের জীবন রহস্য উন্মোচন করে। সেগুলো যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল লাইব্রেরী অব মেডিসিনের ডাটাবেইজ জিন ব্যাংকে গেছে।

উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ওমর ফারুক রাসেল বলেন, আমরা যেসব উদ্ভিদের জিংক বারকোর্ড বের করেছি সবগুলোর সিকোয়েন্স ইতিমধ্যে জমা দিয়েছি এখানে। তাদের ডাটাবেইজ অনুসারে বাংলাদেশ থেকে সর্বপ্রথম ১৩টি মেডিসিন অব প্ল্যান্টের দুটি সিকোয়েন্স আমরা জমা দিয়েছি। বাংলাদেশের আর কেউ যদি করে থাকে ওই প্ল্যান্টের সিকোয়েন্স এবং ওখানে যদি জমা দেন সেক্ষেত্রে আমাদের সাথে যদি মিলে যায় তাহলে বুঝতে হবে এটা একদম নিখুঁতভাবে শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে।

কিন্ত পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় এখন গবেষণা চালিয়ে যাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে বলে জানান গবেষকরা।

মাইক্রোবাইলোজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এইচ এম আবদুল্লাহ মাসুদ বলেন, রিসার্চ এবং পাবলিশেন সেলের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট লেভেল আছে যে কতটুকু পর্যন্ত ফান্ড আমরা ওখান থেকে পেতে পারি। ইতিমধ্যে নিয়ম অনুসারে আমরা পেয়েছি কিন্তু আমরা যদি এই গবেষণার ধারাবাহিক বা আরও বেশি করতে চাই তাহলে বেশি ফান্ডের দরকার আছে। 

অর্থ সংকটের কথা অস্বীকার করেননি উপাচার্য। উদ্যোগ নেয়ার কথাও জানান তিনি।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার বলেন, আমাদের যদি টাকা থাকতো, সেই রকম অবস্থা থাকতো তাহলে একদিন এই ভ্যাকসিনগুলো আমরা উৎপাদন করতে পারবো। কিন্তু আমাদের ল্যাবে সেই সুযোগ সুবিধা নেই, যদি অনুদান পেয়ে যাই আমরা ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাব।
 
বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার ক্ষেত্র আরও বাড়ানোর পাশাপাশি পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ রাখার দাবি ছাত্র-শিক্ষকদের। 

ভিডিও-

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি