ঢাকা, রবিবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাণী

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:৫৪, ২৩ জুন ২০২১

‘বাংলাদেশ-বঙ্গবন্ধু-আওয়ামী লীগ’- বাঙালির ইতিহাসে এই তিনটি নাম অবিনশ্বর, চিরঅম্লান। বাঙালির ইতিহাসে এই তিনটি নাম একই সূত্রে গাঁথা। বাঙালির মেলবন্ধনের স্রোতধারার যে ইতিহাস রচিত হয়েছে তা বঙ্গবন্ধু ও আওয়ামী লীগকে ছুঁয়ে বাংলাদেশ নামের ব-দ্বীপে মিলিত হয়েছে। জনগণই আওয়ামী লীগের শক্তি হয়ে বাঙালি জাতির প্রতিটি মহৎ, শুভ ও কল্যাণকর অর্জনে ভূমিকা রেখে যাচ্ছে।

বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, আইয়ুব খানের এক দশকের স্বৈরশাসন-বিরোধী আন্দোলন, ’৬২ ও ’৬৪-এর শিক্ষা আন্দোলন, ’৬৪-এর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা প্রতিরোধ, ’৬৬-এর ঐতিহাসিক ৬-দফা আন্দোলন, ’৬৮-এর আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ৬-দফাভিত্তিক ’৭০-এর নির্বাচনে ঐতিহাসিক বিজয়, ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ খ্যাত কালজয়ী ভাষণ ও পরবর্তীতে পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন, ২৫ মার্চের কালরাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী কর্তৃক ইতিহাসের নৃশংসতম গণহত্যা, ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বাঙালি জাতি স্বাধীন জাতি-রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। অবশেষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে দীর্ঘ ৯ মাসের এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত আর দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের। স্বাধীনতার পূর্ব, স্বাধীনতা যুদ্ধ- স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় এবং পরবর্তী দেশের সব অর্জন ও সমৃদ্ধির যে ইতিহাস রয়েছে তার প্রতিটি সোপানে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বাংলাদেশকে আজ বিশ্বের দরবারে নিয়ে গেছে এক অনন্য মর্যাদায়।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭২ বছরের দীর্ঘ পথচলার সোনালি ফসল হলো আজকের বাংলাদেশ। ৫০ বছরের বাংলাদেশের সাড়ে ২৩ বছর দেশ শাসন করার সুযোগ পেয়েছে দলটি। এই সাড়ে ২৩ বছর আওয়ামী আমলের মধ্যে, ২০ বছরের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা। ১৯৭৫ সালের পর বিপর্যয়ের মুখে পড়া বাংলাদেশকে নতুন করে প্রাণ দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা। স্বাধীন বাংলাদেশ যেমন বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হাতে তৈরি, তেমনি আজকের ডিজিটাল বাংলাদেশও বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার নিপুণ দক্ষতা ও অদম্য নেতৃত্বের কারণেই আমরা পেয়েছি। 

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এবারের ৭২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমি এ আশা ব্যক্ত করি যে, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ গৌরবে ও অর্জনে হয়ে উঠুক বাঙালি অন্তরের চিরন্তন বন্ধন আর মেলবন্ধনের স্রোতধারার দীপশিখা। আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগসহ স্বাধীনতা সংগ্রামে সব শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করি। এছাড়া আমি সকলকে অসাম্প্রদায়িক চেতনা ধারণ করে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ও দর্শনকে লালন করে দেশপ্রেমের মন্ত্রে উজ্জ্বীবিত হয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নত রাষ্ট্র গড়ার আহ্বান জানাই।

আরকে//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি