‘নভেম্বরে এসএসসি, ডিসেম্বরে এইচএসসি পরীক্ষা’
প্রকাশিত : ১৫:৩০, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ | আপডেট: ১৬:০৩, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১
এবছর নভেম্বরে এসএসসি ও ডিসেম্বরে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
এছাড়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের করোনাভাইরাসে আক্রান্তের খবর শোনা গেলেও তার কোনো সত্যতা মেলেনি বলে জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার সকালে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় আর্ট গ্যালরিতে শিক্ষামন্ত্রী প্রধান অতিথি হিসেবে ১৭ দিনব্যাপী ‘বঙ্গবন্ধু-বাপু’ ডিজিটাল এক্সজিবিউশনের উদ্বোধন করেন।
পরে সাংবাদিকদের তিনি বলেছেন, “সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নভেম্বরের মাঝামাঝি এবং ডিসেম্বরের শুরুতে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।”
দীপু মনি বলেন, “শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায় মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যেখানে সমস্যা হয়েছে, সেখানে আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোভিড-১৯ আক্রান্ত কিনা তা পর্যবেক্ষণ করছি। অনেকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে বলে বিভিন্ন তথ্য দিচ্ছেন। আমরা এর কোনো সত্যতা পাইনি।”
তিনি বলেন, “সারাবিশ্বে করোনা মহামারী চলমান। যদিও সংক্রামণের হার পাঁচ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। কাজেই আমাদের তীক্ষ্ম নজর রাখতে হবে, সবার দিকে। কেউ না কেউ অসুস্থ হতেই পারে। বাড়িতে-বাড়ির বাইরে বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। অন্যদিকে, আবার তাদেরকে দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও সংক্রমিত হতে পারে। সেটি যেন না ঘটে তা নজরদারির মধ্যে রাখা হচ্ছে। কোথাও কোনো শিক্ষার্থী আক্রান্ত হওয়া মাত্র যেন ব্যবস্থা নিতে পারি, সে বিষয়ে আমরা সচেতন ও সজাগ। কোথাও থেকে তথ্য পাওয়া মাত্র দ্রুত স্থানীয় প্রশাসন, সিভিল সার্জন অফিসসহ সবার সাথে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
দীপু মনি বলেন, “শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার পর এ পর্যন্ত বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। আগেই বলেছি, কোথাও থেকে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে বা পড়ার আশংকা থাকলে প্রয়োজনে সেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হবে। এখন পর্যন্ত তেমন কোনো পরিস্থিতির উদ্ভব হয়নি। নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যদি কোথাও হয়, সেক্ষেত্রে নিশ্চয়ই আমরা ব্যবস্থা নেব।”
এক প্রশ্নে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “প্রাক -প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের এই মুহূর্তে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আনতে চাচ্ছি না। অনলাইন ও টেলিভিশনের মাধ্যমে তারা বাসায় বসে নিয়মিত ক্লাসগুলো করুক। তিন সপ্তাহ পার হোক, তারপর এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।”
মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ও ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তৃতা করেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকি।
সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে সবার জন্য উন্মুক্ত এই প্রদর্শনী প্রতিদিন বেলা ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
বঙ্গবন্ধু-বাপু (মহাত্মা গান্ধী) প্রদর্শনী ২২টি তথ্য দেয়াল এবং শতাধিক ডিজিটাল মুহূর্তের সমন্বয়ে তৈরি। প্রদর্শনী শুরু হয় পরিচিতি প্রাচীর দিয়ে, যা প্রদর্শনীর বিষয় বস্তুকে তুলে ধরে এবং প্রশংসার মাধ্যমে বিশ্বের চোখে এই মহান দুই নেতার মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করে। পরবর্তী দুই দেয়ালে দুই নেতার জীবনের একটি বিস্তৃত পটভূমি প্রদর্শন করে। ১৯৪৭ সালের আগস্টে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও মহাত্মা গান্ধীর সাক্ষাতের দিনটির উপর ভিত্তি করে নির্মিত মিটিং ওয়ালে প্রদর্শিত ছবিটি সম্ভবত বিশ্বের একমাত্র ছবি যেখানে বঙ্গবন্ধু এবং বাপু এক ফ্রেমে রয়েছেন।
সূত্র : বাসস
এসএ/
আরও পড়ুন