ডিপিএস এসটিএস’র বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস পালন
প্রকাশিত : ০০:০৭, ৯ অক্টোবর ২০২১ | আপডেট: ১৯:৫৭, ১১ অক্টোবর ২০২১
বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস পালন এবং এ ব্যাপারে শিক্ষার্থীদের সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে ঢাকার ডিপিএস এসটিএস (দিল্লি পাবলিক) স্কুল সম্প্রতি মানসিক স্বাস্থ্য ও সুস্থতার গুরুত্ব বিষয়ক এক আলোচনা সভার আয়োজন করে। এই দিবস পালনের অংশ হিসেবে, মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য শিক্ষার্থীরা পোস্টার তৈরির কার্যক্রমও আয়োজন করে।
বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষ মানসম্পন্ন মানসিক স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত। আর তাই বর্তমান ও ভবিষ্যত বিশ্বের উপযোগী মানসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্যে উদ্যোগ গ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। খোলামেলাভাবে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হলে মানুষের মাঝে মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সহয়তা গ্রহণের মানসিকতা তৈরি হবে, একই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে এমন মানুষদের খুঁজে বের করা সহজ হবে এবং আরও ভালোভাবে সুস্থতা লাভ সম্ভব হবে। তাই, ডিপিএস এসটিএস এই অসাধারণ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং এ লক্ষ্যে আলোচনা সভার আয়োজন করেছে, যেখানে স্কুলের প্যাস্টোরাল কাউন্সেলর পৌরোমা প্রীতি মল্লিকের সাথে গ্রেড ৭-১২’র শিক্ষার্থীরা এক অর্থবহ আলোচনায় অংশ নেয়।
এছাড়াও, দিবসটি পালনে ডিপিএস এসটিএস আরও বেশ কয়েকটি উদ্যোগ গ্রহণ করে। শিক্ষার্থীরা মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক পোস্টার তৈরি করে, যা স্কুলের হলওয়েতে টাঙানো হয়। এরপরে কেউ যখন এই হলওয়ে দিয়ে হেঁটে যাবে, এই পোস্টারগুলো তার চোখে পড়বে এবং সে জানবে অনেকেই এসব সমস্যা মোকাবিলা করছে, যা তাদের কিছুটা হলেও স্বস্তি দিবে।
ডিপিএস এসটিএস'র অধ্যক্ষ ড. শিবানন্দ সিএস বলেন, “মানসিক স্বাস্থ্য আমাদের সমাজে এমন একটি ট্যাবু, যা বরাবরই উপেক্ষিত হয়ে আসছে। তার ওপর কোভিড-১৯ মহামারি সৃষ্ট পরিস্থিতি শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক মানসিক সুস্থতার আরও অবনতি ঘটিয়েছে। স্কুল বন্ধ থাকার কারণে শিক্ষার্থীরা মানসিক চাপ ও উদ্বেগ সহ বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে, যা তাদের মানসিক স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এমতাবস্থায়, স্কুল কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই যথাযথ মানসিক স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার ব্যাপারে বিশেষ নজর দিতে হবে এবং মানসিক স্বাস্থ্যসেবা সবার কাছে পৌঁছে দিতে আর কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে সে বিষয়ে কথা বলা শুরু করতে হবে।”
উল্লেখ্য, বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস সারা বিশ্বের মানুষকে একত্রিত করে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা সম্পর্কিত ভ্রান্ত ধারণা ও উপেক্ষা সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তোলার সুযোগ করে দেয়। আমাদের জীবনে মানসিক সুস্থতার ভূমিকা তুলে ধরার মাধ্যমে দিনটি বৈশ্বিক মানসিক স্বাস্থ্য শিক্ষা এবং সচেতনতায় অবদান রাখে।
আরকে//
আরও পড়ুন