ঢাকা, শনিবার   ১২ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

ভিসির হস্তক্ষেপে বাণিজ্যিক মিটারের অবসান, খুশি শিক্ষার্থীরা

হাবিপ্রবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৪:৫৪, ২৭ অক্টোবর ২০২১ | আপডেট: ১৪:৫৭, ২৭ অক্টোবর ২০২১

Ekushey Television Ltd.

দীর্ঘদিন অপেক্ষার পর অবসান ঘটতে যাচ্ছে দিনাজপুরের হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) সংলগ্ন মেসের বিদ্যুৎ বিলের। শিক্ষার্থী বৃদ্ধির সাথে আবাসিক হল গড়ে না ওঠায় ক্যাম্পাস সংলগ্ন বাঁশেরহাট এলাকায় গড়ে ওঠে মেস। সেখানে শিক্ষার্থীদের দিতে হতো বাণিজ্যিক রেটে বিদ্যুৎ বিল। যা তাদের জন্য অত্যন্ত ব্যয়বহুল হয়ে দাঁড়ায়। 

দুই শতাধিক মেসে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বাণিজ্যিক হারে বিদ্যুৎ বিল সংগ্রহ করতো পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগ। আবাসিক বিলের চেয়ে প্রায় তিন থেকে চারগুণ বিল প্রদান করতে হতো তাদের। বিষয়টিতে একাধিকবার যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ দিলেও সুরাহা হয়নি সমস্যার। অবশেষে হাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম কামরুজ্জামানের হস্তক্ষেপে সমাধান হতে চলেছে উক্ত সমস্যার। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাবিপ্রবির ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক অধ্যাপক ড. ইমরান পারভেজ। 

তিনি জানান, উপাচার্য মহোদয় শিক্ষার্থীদের সমস্যা খুবই আন্তরিকতার সঙ্গে আমলে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। এর অংশ হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মেসের বিদ্যুৎ বিল আবাসিকীকরণের  তথ্যাদি পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগ সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে। সেই সঙ্গে মেসসমূহের তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে হাবিপ্রবির ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগও। আশা করা যাচ্ছে, অক্টোবর মাস থেকেই বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মেসে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা  আবাসিক বিদ্যুৎ বিলের সুবিধা পাবে। 

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মেস মালিক কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মামুনুর রশিদ বলেন, ২০১২ সাল থেকে আকস্মিকভাবে পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগ আমাদের মেসগুলোকে বাণিজ্যিকীকরণ করে দেয়। এতে করে শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি আমরা মেস মালিকরাও বিব্রতকর অবস্থায় পরে যাই। অবশেষে হাবিপ্রবি উপাচার্যের হস্তক্ষেপে উক্ত সমস্যার সমাধান হতে চলেছে।

শিক্ষার্থীরা জানান, দীর্ঘ নয় বছর ধরে আমরা অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের কাছে অসহায় হয়েছিলাম। এবার তা থেকে মুক্তি মিলবে।

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি