শাবিপ্রবি ছাত্রীদের আল্টিমেটাম
প্রকাশিত : ২৩:৩৬, ১৪ জানুয়ারি ২০২২ | আপডেট: ২৩:৪৩, ১৪ জানুয়ারি ২০২২
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন আবাসিক হলের ছাত্রীরা। একই সাথে প্রভোস্ট কমিটির পদত্যাগসহ তিনদফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে এক দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
আগামীকাল শনিবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত এই আল্টিমেটাম দিয়ে হলে ফিরে গিয়ে প্রভোস্ট রুমে নতুন করে তালা মেরে দেন ছাত্রীরা।
প্রভোস্ট জাফরিন আহমেদ লিজা ও কমিটির অন্য সদস্যদের পদত্যাগসহ ৩ দফা দাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বরাবর লিখিতভাবে দিয়েছেন হলটির ছাত্রীরা। এতে ফলপ্রসূ সমাধান না পেয়ে ছাত্রীরা ফের ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করেন।
শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে ছাত্রীরা উপাচার্যের কার্যালয়ে গিয়ে ৩ দফা দাবি তুলে ধরেন। এসময় ছাত্রীরা তাদের হলের আবাসন সমস্যার কথা উপাচার্যকে জানান এবং এর প্রতিকার চান। উপাচার্য তাদের দাবির বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছেন।
এর আগে, এদিন মধ্যরাত থেকে ছাত্রীরা হলের সমস্যার কথা জানিয়ে উপাচার্যের বাসভবনে সামনে অবস্থান নেন। পরে রাত আড়াইটায় উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বাসভবন থেকে বের হয়ে ছাত্রীদের কথা শুনেন। এরপর উপাচার্য ছাত্রীদের সঙ্গে তাদের সমস্যা নিয়ে বসার আশ্বাস দিলে রাতে তারা হলে ফিরে যান।
ছাত্রীদের তিনটি দাবি, প্রভোস্ট কমিটিকে পদত্যাগ করতে হবে; অবিলম্বে হলের যাবতীয় অব্যবস্থাপনা নির্মুল করতে হবে এবং হলের সুস্থ স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে; অবিলম্বে ছাত্রীবান্ধব ও দায়িত্বশীল প্রভোস্ট কমিটি নিয়োগ দিতে হবে।
আন্দোলনরত এক ছাত্রী জানান, উপাচার্য স্যারের আশ্বাসে আমরা গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাতে হলে ফিরে যাই। এসময় তিনি আজ সকালে আমাদের সঙ্গে বসার কথা জানিয়েছেন। পরে আমরা আজ সকালে গিয়ে আমাদের বিষয়গুলো স্যারকে জানিয়েছি। কিন্তু তিনি তেমন কোনো সমাধান আমাদের জানাতে পারেননি।
ছাত্রীদের দাবির বিষয়ে উপাচার্য বলেন, নতুন টিচারের সঙ্কট রয়েছে। তাই এ মুহূর্তেই নতুন প্রভোস্টও নিয়োগ সম্ভব নয়। ছাত্রীদের দাবি ছিল, প্রভোস্ট কমিটি যেন তাদের আচরণের জন্য ছাত্রীদের ‘সরি’ বলেন। উপাচার্য বলেন, একজন শিক্ষক শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাইতে পারেন না। বর্তমান প্রভোস্ট জাফরিন আহমেদ লিজা অসুস্থতাজনিত কারণে ছুটিতে থাকায় ভারপ্রাপ্ত প্রভোস্ট হিসেবে জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জোবেদা কনক খান দায়িত্ব দেয়া হয়।
এ ছাড়া এসময় তিনি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা ছাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার, আবাসন সঙ্কট ও ভাড়া মওকুফ সংক্রান্ত জটিলতা সমাধানের আশ্বাস দেন।
কেআই//
আরও পড়ুন