ডিআইইউ উপাচার্য হলেন অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম
প্রকাশিত : ২০:০৯, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২
অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম
অধ্যাপক সাইফুল ইসলামকে ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ডিআইইউ) উপাচার্য হিসাবে চার বছরের জন্য নিয়োগ দেয়া হল। সম্প্রতি রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ এ নিয়োগ প্রদান করেন।
অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম ইতোপূর্বে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (২০১৬-২০২০) এবং প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (২০১৩-২০১৬) হিসাবে কর্মরত ছিলেন।
তিনি ১৯৭৫ সালে বুয়েট হতে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং (ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং) অনার্সসহ ১ম শ্রেণিতে ১ম স্থান অধিকার করেন এবং ১৯৭৭ সালে একই বিষয়ে এমএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করেন। পরে ১৯৮৬ সালে যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় হতে একই বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন।
অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গনভিল এন্ড কেইয়াস কলেজের ছাত্র ছিলেন। তিনি ১৯৭৫ সালে বুয়েটে লেকচারার হিসাবে নিয়োগপ্রাপ্তির মাধ্যমে তার শিক্ষকতা জীবন শুরু করে ১৯৮৮ সালে বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগে অধ্যাপক হিসাবে নিয়োগ পান এবং পরবর্তীতে তিনি বিভাগীয় প্রধান, ডীন, ভর্তি কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ইনষ্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশ-এর আজীবন ফেলো, বাংলাদেশ কম্পিউটার সোসাইটির আজীবন ফেলো, যুক্তরাজ্যের ইনষ্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলাজীর (আইইটি) এর ফেলো, যুক্তরাজ্যের ইঞ্জিনিয়ারিং কাউন্সিল এর চাটার্ড ইঞ্জিনিয়ার।
এছাড়াও তিনি যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজ কমনওয়েলথ্ ট্রাস্টের ফেলো এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইনস্টিটিউশন অব ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ার্স-এর জ্যেষ্ঠ সদস্য। তিনি বাংলাদেশ ইলেকট্রিক্যাল সোসাইটির প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট।
১৯৯৯-২০০০ সালে তিনি ইসলামিক ইনষ্টিটিউট অব টেকনোলজী (বর্তমানে আইইউটি), গাজীপুর-এর ভিজিটিং অধ্যাপক ছিলেন। তিনি ২০০২-২০০৬ সালে বুয়েট থেকে ছুটি নিয়ে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির ১ম ডীন হিসাবে নিযুক্ত হয়ে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টির গড়ার কাজে এবং ২৪টি ল্যাবরেটরিসহ বিভিন্ন কর্মে বিশেষ অবদান রাখেন।
তিনি দীর্ঘ ৪৫ বছর ১ মাস যাবৎ শিক্ষকতা, রিসার্চ এবং একাডেমিক এডমিনিস্ট্রেশন-এর কর্মে বিশেষ সুনাম এবং সুদক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। বিখ্যাত এই শিক্ষাবিদ তাঁর পেশাগত জ্ঞান প্রয়োগের মাধ্যমে বিভিন্ন জাতীয় প্রজেক্টের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে বিশেষ অবদান রেখেছেন।
মাইক্রোওয়েভ, রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি ইঞ্জিনিয়ারিং, রাডার ইঞ্জিনিয়ারিং, স্যাটেলাইট কমিনিউকেশন, স্যাটেলাইট সিস্টেম, লেজার, সুউচ্চ ভবন এবং শহরের ইলেট্রিক্যাল ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম এবং স্পেশাল লাইটিং ডিজাইনের কাজে তার জ্ঞান এবং দক্ষতার ব্যাপারে তিনি অত্যন্ত সুপরিচিত।
এনএস//
আরও পড়ুন