নানা আয়োজনে চেরী ব্লোসমস স্কুলে বাংলা নববর্ষ উদযাপন
প্রকাশিত : ১৮:০৪, ১৪ এপ্রিল ২০২২ | আপডেট: ১৮:১১, ১৪ এপ্রিল ২০২২
কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কালজয়ী গান-‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো’ গানের মধ্য দিয়ে নতুন বছর ১৪২৯ বঙ্গাব্দকে বরণ করে নিলো রাজধানীর মিরপুর চেরী ব্লোসমস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষার্থীরা।
স্কুল প্রাঙ্গণে বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) সকাল সাড়ে আটটায় নতুন বছরকে আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেয় স্কুলটির শত শত শিক্ষার্থী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চেরী ব্লোসমস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রিন্সিপাল ও চেয়ারম্যান ড. সালেহা কাদের।
অনুষ্ঠানজুড়ে গ্রাম বাংলার চিরায়ত ঐতিহ্যের গান, কবিতা, হাসন, লালন, বৈশাখের গান, বৃষ্টি বন্দনার গান, গ্রুফ ড্যান্স, দ্বৈত সংগীত, জারি-সারি, ভাটিয়ারী, লোকজ গানের পরিবেশনা করে স্কুলের শিক্ষার্থীরা। সংগীতের মূর্ছনাতে আলোকিত হয়ে ওঠে বর্ষবরণের বর্ণিল এই আয়োজন।
স্কুলটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রতি বছরই উদযাপিত হচ্ছে নববর্ষের এই আয়োজন। অতীতের সব জড়া-জীর্ণতাকে বিদায় জানালো চেরী ব্লোসমস স্কুলের শিক্ষার্থীরা।
চেরী ব্লোসমস ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রিন্সিপ্যাল ড. সালেহা কাদের বলেন, পহেলা বৈশাখ বাঙালির ঐতিহ্যগত উৎসব। আমাদের আত্ম পরিচয়ের দিন। এই স্কুল এন্ড কলেজটি ইংলিশ মিডিয়াম হলেও আমরা আমাদের সন্তানদেরকে ইংরেজ বানাতে চাই না। অস্তিত্বের শেখরের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে বৈশাখের উৎসবের আয়োজন করি প্রতি বছর।
তিনি আরও জানান, শহরে বেড়ে উঠা নতুন প্রজন্মের শিশুরা গ্রামের চিরায়ত সংস্কৃতির পরিচয় থেকে ক্রমশ দূরে সরে যাচ্ছে। তাই তাঁদেরকে গ্রামের লোকজ সংস্কৃতি ও চিরায়ত সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতেই এই আয়োজন।
চেরী ব্লোসমস স্কুল এন্ড কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল আফসানা আমিন মোনালিসা বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এ দিনটি আমাদের কাছে ভিন্নতা পাই, কারণ বৈশাখী আয়োজন মানেই আপন আলয়ে ফেরার দিন। তাই প্রতিবারের ন্যায় এবারো স্বাস্থ্য বিধি মেনে আমরা বৈশাখের উৎসবের আয়োজন করেছি। স্কুলের স্ট্যান্ডার্ড ফাইভের শিক্ষার্থী আমরোজিয়া আফসিন লালন গীতি পরিবেশন করেন।
অনুষ্ঠানে ছিল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দেখা মেলে হরেক সাজের বাহারি পরিবেশনা। সবশেষে এক অনাবিল আনন্দ সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ফেরে শিক্ষার্থী-অভিভাবকরা।
কেআই//
আরও পড়ুন