ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৪ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

লঞ্চের ইঞ্জিন বিকল, সুরমায় ভাসছেন ঢাবির সেই শিক্ষার্থীরা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৫৮, ১৯ জুন ২০২২ | আপডেট: ১০:৪০, ১৯ জুন ২০২২

Ekushey Television Ltd.

দুর্দশা যেন পিছু ছাড়ছে না হাওরে বেড়াতে গিয়ে বন্যায় আটকা পড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই শিক্ষার্থীদের। এবার ফেরার পথে লঞ্চের ইঞ্জিন বিকল হয়ে সুরমার নদীর চরে আটকা পড়েছেন তারা। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ২১ জন শিক্ষার্থীসহ প্রায় ৮০ জন যাত্রী সুনামগঞ্জ থেকে সিলেট ফেরার পথে লঞ্চের ইঞ্জিন নষ্ট হয়ে সুরমার মাঝ নদীর চরে আটকা পড়েন।

শনিবার রাত সাড়ে আটটার দিকে তারা সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার সংলগ্ন সুরমা নদীর চরে আটকা পড়েন বলে শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ফোন করে জানান।

নদীতে প্রবল স্রোত ও বৃষ্টিপাতে নিজেদের জীবনের শঙ্কার কথা জানিয়ে শিক্ষার্থীরা তাদের উদ্ধারের আর্তি জানিয়েছেন।

আটকা পড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শোয়াইব আহমেদ বলেন, “আমাদের নিয়ে শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে নৌযানটি ছাড়ে। এটি সুনামগঞ্জ হয়ে সিলেটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। রাত সাড়ে ৮টার দিকে দোয়ারাবাজার এলাকায় এসে নৌযানটি থেমে যায়। এর আগে নৌযানটির দুটি ইঞ্জিন বিকল হয়ে পড়ে।”

শোয়াইব আরও জানান, “রাতে চারদিকে খুব অন্ধকার, পানি আর পানি। নদীতে প্রচুর স্রোত, প্রচুর বৃষ্টিও হচ্ছে। ফলে সবাই জীবন নিয়ে শঙ্কায় আছি।”

আটকা পড়া শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতা কামনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী। 

এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের চেয়ারপারসন অধ্যাপক আবুল মনসুর আহাম্মদ বলেন, “আইএসপিআরের ডিরেক্টর মেসেজে জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে একটি টিম পাঠিয়েছিলেন। কিন্তু প্রায় অর্ধেক পথ যাওয়ার পর ফিরে আসতে হয়েছে। কারণ নদীতে প্রবল স্রোত, বৃষ্টিপাত ও অন্ধকারে গতিপথ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। ভোরে আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে সেনাবাহিনীর টিম গিয়ে শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করবে।”

এর আগে সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে বেড়াতে গিয়ে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হলে গত বৃহস্পতিবার শহরের একটি রেস্তোরাঁয় আশ্রয় নেন ঢাবির শিক্ষার্থীরা। সেখানে বিদ্যুৎ, খাবার, সুপেয় পানিসহ নানা সংকট তৈরি হলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ফোন করে সহায়তা চান তারা।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি