চতুর্দশ শিক্ষক নিবন্ধনের ৪৮৩ প্রার্থীকে নিয়োগের নির্দেশ
প্রকাশিত : ১৩:১৭, ২৯ জুন ২০২২ | আপডেট: ১৩:৫৯, ২৯ জুন ২০২২
বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের চতুর্দশ নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৪৮৩ প্রার্থীকে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে হাই কোর্ট।
এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বুধবার বিচারপতি কাশেফা হোসেন ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাই কোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেয়।
উত্তীর্ণদের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দিতে শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, শিক্ষা সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের দ্রুত সময়ের মধ্যে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে আদেশে।
এদিন আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনিরুজ্জামান আসাদ ও আইনজীবী ফারুক হোসেন।
গত বছর জাকির হোসেন নামে এক নিবন্ধনধারীসহ ৪৮৩ জন হাই কোর্টে রিটটি করেন। চতুর্দশ নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ওই প্রার্থীদের নিয়োগ দিতে কেন সুপারিশ করা হবে না-তা জানতে চেয়ে এরপর রুল দেয় আদালত। সেই রুলের চূড়ান্ত শুনানি শেষে বুধবার রায় দিল হাই কোর্ট।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের দ্রুত সময়ের মধ্যে এ রায় বাস্তবায়নে পদক্ষেপ নিতে বলেছে হাই কোর্ট।
২০১৮ সালের নভেম্বরে চতুর্দশ নিবন্ধন পরীক্ষার চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। তাতে স্কুল-২ পর্যায়ে ৫৫৪ জন, স্কুল পর্যায়ে ১৪ হাজার ১৭৮ জন এবং কলেজ পর্যায়ে ৩ হাজার ৫৮০ জন উত্তীর্ণ হন।
এর আগে গত ১ জুন বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের ত্রয়োদশ নিবন্ধন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ আড়াই হাজার প্রার্থীকে নিয়োগের নির্দেশ দিয়ে আরেকটি রায় দেয় হাই কোর্ট।
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার মান উন্নয়নে এসব প্রতিষ্ঠানে যোগ্য ও মানসম্পন্নদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দেয় এনটিআরসিএ। ২০০৫ সাল থেকে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ এই পরীক্ষা নেওয়া শুরু করে।
আগে বেসরকারি স্কুল-কলেজে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের হাতে ছিল। পরে স্কুল-কলেজের পরিচালনা পর্ষদের ক্ষমতা খর্ব করে সরকার এনটিআরসিএর মাধ্যমে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মেধার ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ দিচ্ছে।
এএইচএস
আরও পড়ুন